গত কয়েকদিনের দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন গরম থেকে সহসাই মুক্তি মিলছে না। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিন-চারদিনের
সবুজের ফাঁক গলে উত্তাপ ছড়াচ্ছে প্রকৃতি। পুড়ছে শহর, হাঁসফাঁস করছে মানুষ। গত কয়েক দিনের কাঠফাঁটা রোদ আর অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তাই-তো বাধ্য হয়ে গাছের ছায়ায় খানিক বিশ্রামের চেষ্টা। গরমে শান্তির একটু পরশ খুঁজে নিতে লেকের পানিতে গা ভিজিয়ে প্রশান্তি খুঁজছে শিশু কিশোররা।
একদিকে গত কয়েকদিনের গরম, সঙ্গে শহুরে জীবনে যোগ হয়েছে যানজট। এতে নাভিশ্বাস অবস্থা নগরবাসীর।
একজন জানান, এত গরম আমার জীবনে দেখি নাই। কোনোভাবেই টিকা যাচ্ছে না। ঘর থেকে বের হলেই শরীর ভিজে যায়।
সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভ্যাপসা গরমে ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন।
এক বাস ড্রাইভার বলেন, গাড়ির ইঞ্জিনের গরম ও রোদের গরমে কোনোভাবেই টিকা যাচ্ছে না। অনেক সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
এদিকে কোনো সুখবর নেই আবহাওয়া দফতরের কাছে। আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
আবহাওয়া অধিদফতর উপ-পরিচালক মো. ছানাউল হক মন্ডল বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রা বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পড়ছে। এটা আরও দু-চারদিন কন্টিনিউ করবে। যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে এই অস্বস্তি ভাবটা কেটে যাবে।
বুধবার সারা দেশে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ৬০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে রেকর্ড করা হয় বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দেশে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে খুলনা জেলায় ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নোয়াখালী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজশাহী, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর ও বাগেরহাট জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে বলেও জানান তিনি।
