অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে হবে মর্মে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। একই সঙ্গে ইইউ’র পক্ষ থেকে ছয়টি বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় বের করতে বৈঠকে বসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকটি চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত হননি বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ছয়টি বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানতে চাইবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যার প্রথমটি হলো, একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপের আয়োজন করতে কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থার বিষয়ে সরেজমিন অভিজ্ঞতা, পর্যালোচনা এবং তাদের মূল্যায়ন প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়া সদস্য ক্রিস্টিয়ান ড্যান প্রিদা।
ইইউ যে ছয়টি বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানতে চাইবে তা হলো-
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে তদন্ত বা কোনো ধরনের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে।
জানতে চাওয়া হবে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এখনও কেন বন্ধ হয়নি। দ্রুত বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ ও জোরপূর্বক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়া বন্ধ করতে সরকার কি উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জায়গা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে।
রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরকার কেন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হত্যায় উৎসাহও জোগাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে।
বৈঠকের শুরুতেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্বারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন। বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
ইইউ যে ছয়টি বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য জানতে চাইবে তা হলো-
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে তদন্ত বা কোনো ধরনের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে।
জানতে চাওয়া হবে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এখনও কেন বন্ধ হয়নি। দ্রুত বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- বন্ধ ও জোরপূর্বক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়া বন্ধ করতে সরকার কি উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জায়গা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে।
রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরকার কেন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হত্যায় উৎসাহও জোগাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে।
বৈঠকের শুরুতেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্বারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেন। বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।