সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ভারতীয় ভূখণ্ডে কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুই জেলায় ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ, রাস্তাঘাট। পানি উঠে গেছে সিলেট শহরেও। অনেকে গবাদিপশুসহ আশ্রয় নিয়েছে উঁচু এলাকায়।
আবহাওয়া অধিফতরের সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। তবে উজানে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই পাহাড়ি ঢল নামছে। ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সুরমা নদীর পানি উপচে সোমবার থেকে নগরীতে প্রবেশ করতে শুরু করে। বিকেল পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। নগরীর উপশহর, সোবহানিঘাট, কালিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায়ও পানি ঢুকেছে। এতে বিপাকে পড়েন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে বৃষ্টি কমলেও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদীর পানি বাড়ছে সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও জকিগঞ্জেও। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে রয়েছে। কানাইঘাট উপজেলা সদরের প্রধান বাজারে হাঁটুপানি রয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের মেঘালয়ে ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের ফলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী তীরবর্তী ইব্রাহিমপুর, হালুয়াঘাট, সদরঘর, মল্লিকপুর এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পানি ওঠায় চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।