কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে তোলা হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযুক্ত পি কে হালদার ও তার পরিবারকে। মঙ্গলবার (১৭ মে) তাদের আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
গত শনিবার (১৪ মে) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা অশোকনগর থেকে গ্রেফতার হন প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। একইসঙ্গে তার পরিবারের পাঁচ সদস্য গ্রেফতার হন।
শনিবারই (১৪ মে)কলকাতার এই আদালতে তুলে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের বিশেষ কোড সোমবার (১৬ মে) পর্যন্ত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সে হিসেবে ১৬ মে রিমান্ড শেষ হয় তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মঙ্গলবার (১৭ মে) গ্রেফতার পি কে হালদারসহ বাকিদের নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার পরে বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
ভারতের আর্থিক দুর্নীতিবিষয়ক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টর (ইডি) পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংসহ একাধিক ধারায় মামলা করেছে।
ইতোমধ্যে তিনদিনের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হয়েছে তিন দেশের তিনটি পাসপোর্ট বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন এবং বহু মোবাইলের সিম কার্ড।
গোয়েন্দাদের তদন্তে সহযোগিতা করছেন পিকে হালদার। তবে সোমবারই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন গণমাধ্যমের সামনে।
এদিকে পি কে হালদারকে কোনো রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি সাহায্য করেছিলেন কি না সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
গ্রেফতারকৃত পি কে হালদারের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই এমন ৪০ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেই তালিকায় যেমন রয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী। এ ছাড়া কয়েকজন জমির দালাল এবং ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন।
ইতোমধ্যে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছেন গোয়েন্দারা। ওই দুটি ব্যাংকের সন্দেহজনক লেনদেনের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা।