পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার

Slider সারাবিশ্ব


এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা লোপাট মামলার পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতার করেছে ভারতের অর্থসংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থা (ইডি)। শনিবার (১৪ মে) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও আত্মীয়স্বজনের নামে আরও বেশ কয়েকটি বাড়ির সন্ধান পায় ইডি। আর গতকালই (১৩ মে) গ্রেফতার করা হয় তার ভাগনে প্রাণেশ হালদারকে।

হাজার কোটি টাকা লোপাটে মূল অভিযুক্ত ও পাচার মামলার পলাতক আসামি পি কে হালদার। দেশের পর দেশের বাইরে অভিযানে একের পর এক বেরিয়ে আসছে তার অর্থ পাচারের নানা তথ্য। খোঁজ মিলছে বিপুল পরিমাণ সম্পদের।

পাশাপাশি পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ বেশ ক’জনের নামও উঠে এসেছে। এরইমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে।

জানা গেছে, পি কে হালদারের পাচার করা অর্থে ভারতে কেনা বিভিন্ন সম্পত্তি দেখভালে থাকা যে ক’জনের নাম ইডির তদন্তে আসছে, তাদের মধ্যে আছেন সুকুমার মৃধা, তার মেয়েজামাই সঞ্জীব হাওলাদার, পি কে হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদার ও স্বপন মিত্র।

এদের মধ্যে সুকুমার মৃধা ছিলেন বাংলাদেশে পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী এবং তার অর্থ দেখভাল করতেন। সুকুমার মৃধা উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানে সুকুমারের বেশ কিছু মাছের ভেড়ি রয়েছে। তবে সুকুমার সেখানে নিজেকে পি কে হালদারের ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন। সুকুমারের মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার স্বামী সঞ্জীব হাওলাদার। তিনিও বাংলাদেশি নাগরিক।

পি কে হালদারের ভাই এনআরবি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রীতিশ হালদার অশোকনগরে তার নামে একটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি কেনেন। দুই বছর আগে বাড়িটি সুকুমারের নামে আরেক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করেন প্রীতিশ। ওই বাড়িতেই থাকতেন সুকুমারের মেয়েজামাই সঞ্জীব।

শুক্রবার ওই বাড়িতে অভিযানের সময় ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অশোকনগরে পি কে হালদার চক্রের আরেক সহযোগী স্বপন মিত্রের বাড়ি থেকে অর্থ পাচারসংক্রান্ত একাধিক নথিও জব্দ করেন তারা। পরে দীর্ঘ জেরার পর তাকে আটক করে ইডি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *