কাজে ফিরেই বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের কাছ থেকে ৯ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন সেই টিটিই শফিকুল ইসলাম। বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণকারী রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয়দের জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন তিনি। সমালোচনার মুখে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর মঙ্গলবার (১০ মে) আবারও ট্রেনে উঠে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি।
কাজে ফিরেই আবার অ্যাকশনে সেই টিটিই শফিকুল
রেলওয়ে সূত্র জানায়, কর্মস্থলে ফেরার পর মঙ্গলবার খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে কাজে ফেরেন টিটিই শফিকুল ইসলাম।
সোমবার (৯ মে) পুনর্বহালের অফিস আদেশ পেয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক কার্যালয়ে স্বপদে যোগদানের আবেদনপত্র জমা দেন শফিকুল ইসলাম।
আবেদন গ্রহণের পর মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন হয়ে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন তিনি।
ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে গন্তব্যে পৌঁছায়। টিটিই হিসেবে পুনরায় কাজের দায়িত্ব পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিনা টিকিটে ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে ৯ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন শফিকুল। সন্ধ্যায় চিলাহাটি স্টেশনে রাজস্ব খাতে এ টাকা জমাও দেন তিনি।
শফিকুল বলেন, ‘ট্রেনে আজ ৪ জন টিটিই কাজ করছি। এর মধ্যে আমি ৯ হাজার ১০০ টাকা ভাড়াসহ জরিমানা আদায় করেছি। গণনা হওয়ার পর বোঝা যাবে মোট কত টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে।’ টিকিটবিহীন যাত্রীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে রেলখাতে সরকারের রাজস্ব বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পেরে খুশি বলেও জানান আলোচিত এই টিকিট চেকার।
গত ৫ মে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি কেবিনে ভ্রমণকারী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেয়া ৩ যাত্রীকে জরিমানা করে বরখাস্ত হন টিটিই শফিকুল ইসলাম। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয় রেল মন্ত্রণালয়।