বীরগঞ্জে আ’লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধাকে দলীয় সভা করতে দেওয়া হয়নি

Slider জাতীয়

দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন সফল করার লক্ষে দলীয় সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাদ্রাসার সুপারের অনুমতি ক্রমে সভা আহব্বান করার পরেও, মাদ্রাসার সুপার সহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের সভাপতিদের নির্দ্দেশে আ’লীগের দলীয় সভা করতে না দেওয়ায় বিরুপ পতিক্রিয়া দেখা দেয়, অবশেষে বাধ্য হয়ে শহীদ মিনার পদদেশে সভা করেছে বীরমুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি দধীনাথ রায়।

সাতোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা দধীনাথ রায় ৬ মে শুক্রবার রাতে জানায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি আ’লীগ সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম শেখকে আগামী ১৬ মে সম্মেলন সফল করা ও কাউন্সিলর জাচাই বাছাইয়ের লক্ষে দির্ঘদিন ধরে সভা করার কথা জানালে তিনি তা না করে পকেট কমিটি করার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন। বাধ্য হয়ে আমি জীন্দাপীর দারুসালাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইফুল ইসলামের কাছে প্রতিষ্ঠানের মাঠে পূর্বের ন্যায় ৫ মে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় সভা করার জন্য ৫/৭ দিন পূর্বে অনুমতি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনকে দিয়ে পত্র দ্বারা সভার আয়োজন করি।
সে মোতাবেক আ’লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা দধীনাথ রায় মাদ্রাসায় গেলে সুপার সাইফুল ইসলাম দলীয় সভা করতে না দেওয়ায় নেতাকর্মিদের সাথে নিয়ে বাধ্য হয়ে জীন্দাপীর শহীদ মিনার পদদেশে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধ দধীনাথ রায়ের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীন্দাপীর দারুসালাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাইফুল ইসলাম জানায়, মাদ্রাসার সভাপতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি আ’লীগ সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম শেখ এর নির্দ্দশে সভা করতে দেওয়া হয় নাই।

যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জানায়, ১০ বছর পূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হলেও অনেকেই জানেনা কার কি পদ। শুধু মাত্র ওয়ার্ড সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ছাড়া কোন ওয়ার্ডের ৫১ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয় নাই। তাই আগামী ১৬ মে সম্মেলনে কারা কারা কাউন্সিলর তা আমরা জানিনা। সেটা জানার জন্য সভা করতে বল্লে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি আ’লীগ সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম শেখ কোন পদক্ষেপ নেয় নাই। পকেট কমিটি করে নিজের মনপুত লোকদের কাউন্সিলার বানিয়ে তৃনমুলের নেতা কর্মিদের বাদ দিয়ে সম্মেলন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম টাকার বিনিময়ে ৭১ রাজাকার পরিবারকের কমিটির সদস্য করে তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামীলীগে।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা দধীনাথ রায়কে মাদ্রাসার সুপার দলীয় সভা করতে না দেওয়ায় সংবাদ পেয়ে পরে উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে সভা করার আবেদন জানালে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি দলীয় নেতাদের নির্দ্দেশে আ’লীগের দলীয় সভা করতে না দেওয়ায় সাধারন নেতা কর্মিদের বিরুপ পতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা দধীনাথ রায়ের শহীদ মিনার পদদেশে সভা করতে হয়েছে।

ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি জাহের আলী জানায়, কমিটি হওয়া পযর্ন্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম শেখ তার প্রয়োজন ছাড়া তেমন কোন সভা করেনি। গঠনতন্ত্র মতে সভাপতির নির্দ্দেশে সাধারন সম্পাদক কোন সভা না ডাকলে সভাপতি যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কে দিয়ে সভা করতে পারেন। সভাপতির ডাকা দলীয় সভায় কেউ যেন না আসে তাই তিনি অনেককে ডেকে বাধা প্রদান করেন।

ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জীন্দাপীর দারুসালাম দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি রেজাউল করিম শেখ কে মোবাইলে সভাপতির ডাকা মাদ্রাসা মাঠে দলীয় সভা করতে না দেওয়ার কারন জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করেনি।

বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউনিয়ন আ’লীগ সহ সভাপতি জাকির হোসেন রাজা মোবাইল ফোনে জানায়, সভাপতির ডাকা দলীয় সভা স্কুল মাঠে আমি করতে মানা করেছি।

বীরমুক্তিযোদ্ধা সভাপতির ডাকা দলীয় সভা করতে না দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় দলীয় নেতা কর্মিদের মাঝে চাপা উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দলীয় নেতা কর্মিরা উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে ৫১ সদস্যর পূনার্ঙ্গ সকল ওয়ার্ড কমিটি করে সঠিক কাউন্সিলার বানিয়ে সম্মেলন করার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *