সুষ্টু নির্বাচন হলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। তিনি বলেছেন, সরকার এই সময়ে নির্বাচন সামনে এনেছে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য। এছাড়া তারা যে আন্দোলনের প্রচন্ড চাপে পরেছে তা কাটানোর জন্য এই নির্বাচনের আয়োজন। তবে সুষ্টু নির্বাচন হলে এতে যে আমরা জিততে পারবো তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। গতকাল নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ এর নিখোঁজের ঘটনায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন খোকা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যেহেতু ১০ বছর ধরে অভিভক্ত সিটির মেয়র ছিলাম এখন বিভক্ত সিটিতে নির্বাচনে যাওয়াটা সমীচীন মনে করি না। এছাড়া স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে আমার নির্বাচন করার মতো অবস্থা নেই। বিএনপি এমন একটি দল যে কোন সিটি করপোরেশন এ প্রার্থী দেয়ার মতো অন্তত ১০ জন লোক পাওয়া যাবে। সুতরাং আমাকেই থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই।
লিখিত বক্তব্যে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, চিকিৎসার জন্য এই দেশে আসার পর প্রথম কয়েক মাস আমি সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে আমরা দেখতে পেলাম যে, দেশের বর্তমান অনির্বাচিত-অবৈধ সরকার আন্দোলন-লড়াইরত ন্যায্য দাবি মেনে দ্রুত একটি সত্যিকার নির্বাচন দেয়ার পরিবর্তে উল্টো দেশবাসীর ওপর একনায়কতান্ত্রিক জুলুম-নিপীড়ন তথা ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাত্রা দিন দিন বাড়িয়েই চলেছে । একদিকে সরকারের নিয়োজিত সন্ত্রাসী ও গোয়েন্দা এজেন্টদের দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহনে পেট্রোল বোমা মেরে দেশবাসীর ন্যায্য আন্দোলন-লড়াইকে সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসাবে চিহ্নিত করার অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে জনগণের বিরুদ্ধেই এক অকল্পনীয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানোর কাজে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে । তিনি বলেন, দুরভিসন্ধিমূলকভাবে পেট্রলবোমা মেরে এবং কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে নিরীহ জনসাধারণকে হত্যার এক পৈশাচিক উন্মাদনায় মেতে উঠেছে সরকার। একই সঙ্গে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম রাজনৈতিক বিএনপি এবং এর জোটভুক্ত অপর দলগুলোর কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দিয়ে এসব দলের অধিকাংশ নেতাদেরকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে । আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ও মো: শাহজাহান এবং যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়ার মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের কালো অধ্যায়কে ক্রমশ: বিস্তৃত করে চলেছে । অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের দল বা জোটের পক্ষে কেউ কথা বললেই তাকে অমানবিক কায়দায় ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে ।
তিনি বলেন, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ, যিনি একই সঙ্গে দলের মুখপাত্রও ছিলেন, গত ১০ই মার্চ রাতের বেলায় রাজধানীর উত্তরার মতো তুলনামূলক সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা, যেখানে সার্বক্ষনিক পুলিশী টহলের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সোসাইটি কতৃক নিয়োজিত প্রহরীরা রাতভর প্রতিটি সড়কের মোড়ে মোড়ে পাহারায় থাকে, সেই এলাকার একটি বাসা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একদল সদস্য তাকে ধরে নিয়ে যায়, যা ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী, অন্যান্য কর্মচারি এবং আশপাশের বাসিন্দারা সুস্পষ্টভাবেই দেখেছে । তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার মুহুর্তে ওই বাড়ি এবং আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক গাড়িও অবস্থান নেয়, যা গত কয়েক দিনে দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩ দিন আগে তার তিনজন গাড়িচালক ও একজন কর্মচারীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, যাদেরকে সালাহউদ্দিনের অবস্থানের ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবদের পর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অপরাধ কি সে ব্যাপারে পুলিশ আজও কিছুই বলেনি। সালাহউদ্দিনকে তার যে বন্ধুর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই বন্ধু হাবিব হাসনাতের ড্রাইভার এবং কর্মচারীকেও পুলিশ ধরে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । এসব ঘটনা সংবাদপত্রে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে । সুতরাং সরকারী বাহিনীই যে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে সন্দেহ বা সংশয়ের নুন্যতম কোন অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমদ, যিনি একই সঙ্গে দলের মুখপাত্রও ছিলেন, গত ১০ই মার্চ রাতের বেলায় রাজধানীর উত্তরার মতো তুলনামূলক সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা, যেখানে সার্বক্ষনিক পুলিশী টহলের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সোসাইটি কতৃক নিয়োজিত প্রহরীরা রাতভর প্রতিটি সড়কের মোড়ে মোড়ে পাহারায় থাকে, সেই এলাকার একটি বাসা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর একদল সদস্য তাকে ধরে নিয়ে যায়, যা ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী, অন্যান্য কর্মচারি এবং আশপাশের বাসিন্দারা সুস্পষ্টভাবেই দেখেছে । তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার মুহুর্তে ওই বাড়ি এবং আশপাশের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক গাড়িও অবস্থান নেয়, যা গত কয়েক দিনে দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩ দিন আগে তার তিনজন গাড়িচালক ও একজন কর্মচারীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, যাদেরকে সালাহউদ্দিনের অবস্থানের ব্যাপারে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবদের পর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অপরাধ কি সে ব্যাপারে পুলিশ আজও কিছুই বলেনি। সালাহউদ্দিনকে তার যে বন্ধুর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেই বন্ধু হাবিব হাসনাতের ড্রাইভার এবং কর্মচারীকেও পুলিশ ধরে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । এসব ঘটনা সংবাদপত্রে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে । সুতরাং সরকারী বাহিনীই যে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে সন্দেহ বা সংশয়ের নুন্যতম কোন অবকাশ নেই।