বরিশাল: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।
বুধবার (৪ মে) রাতে যেখানে পাঁচটি বেসরকারি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে, সেখানে বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে বরিশাল নদীবন্দর থেকে নয়টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।
এছাড়া দিবা সার্ভিসে তিনটি ও বিআইডব্লিউটিসির একটি জাহাজ বরিশাল থেকে যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যথা সময়ে চলাচল করেছে।
ঈদের ছুটি শেষ হওয়ায় প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রীর চাপ অনেকটা বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্মকর্তারা।
আরমান মিঞা নামে এক সরকারি চাকরিজীবী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে এসেছিলাম, ছুটি শনিবার পর্যন্ত থাকলেও কেবিন আজ পেয়েছি, তাই একদিন আগেই ঢাকা যাচ্ছি। এছাড়া একটু আগে ভাগে যাওয়ার কারণে আগামী দুদিনের ভিড়ের মুখ দেখতে হবে না। এক কথায় ঝামেলা এড়াতে আজই যাচ্ছি।
শারমিন নামে এক গৃহিনী বলেন, আমার স্বামী একটি ওষুধ কোম্পানিতে মার্কেটিংয়ে চাকরি করে। তার ছুটি শেষ তাই স্বামীর সঙ্গে বাচ্চা নিয়ে রওনা দিয়েছি।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, রাতে বরিশাল নদীবন্দর থেকে আজ রাতে এমভি পারাবাত ১২ ও ১০, সুন্দরবন ১১, কুয়াকাটা ২, কীর্তনখোলা ১০, সুরুভী ৭, অ্যাডভেঞ্চার ১, প্রিন্স আওলাদ ১০ এবং মানামী লঞ্চ নদীবন্দরের ঘাট ছাড়বে। এছাড়া দুটি ভায়া লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দর হয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
পাশাপাশি ডে সার্ভিসের মধ্যে দুটি ক্যাটারম্যান এমভি গ্রিন লাইন ৩ ও অ্যাডভেঞ্চার ৬ এবং এমভি রাজার হাট সি নামে একটি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজকে যাত্রীদের চাপ মোটামুটি। কারণ এখনও দুদিন ছুটি রয়েছে। আগামী দুদিন যাত্রীর চাপ আজ থেকে কয়েক গুণ বেশি হবে।
কবির হোসেন বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনও লঞ্চ না ছাড়ে। এছাড়া আমাদের সার্বিক সহায়তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছে।
এদিকে নদী বন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র্যাব-৮, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরাও রয়েছে।
এছাড়া লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই না করতে পারে সেটি তদারকির জন্য জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে।