ঈদের আনন্দে বাগড়া দিচ্ছে বৃষ্টি। আজ মঙ্গলবার সকালে ঈদের নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই সাড়ে ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো বাতাস, সঙ্গে বৃষ্টি। মুসল্লিদের অনেকেই নামাজ শেষে বাসায় ফিরতেই পারেননি, বৃষ্টিতে আটকে পড়েন। যারা প্রথম ধাপে নামাজ আদায় করে বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন তাদের আনন্দও মাটি হয়ে গেছে। তবে বৃষ্টির মাত্রা কম হলেও যেভাবে ঝরছে তাতে ঘরে থাকা ছাড়া উপায় নেই মানুষের। অবশ্য আগে থেকেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঈদের দিন বৃষ্টির কথা জানানো হয়েছিল।
নামাজের আগেও সকালের দিকে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় এক পশলা বৃষ্টির দেখা মিলেছে। সকালে ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন হঠাৎই বৃষ্টি শুরু হয়। তবে নামাজে শেষ পর্যন্ত কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। তার আগেই শেষ বৃষ্টি থেমে যায়।
সকালে সরেজমিন রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা সড়কে দেখা যায়, রাস্তায় বেশ পানি জমে আছে। মুসল্লিরা ঈদ জামাতে অংশ নিতে মসজিদের দিকে এগোচ্ছেন। এদিন জাতীয় ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজ আদায় করতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা সকাল থেকে আসতে থাকেন।
সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ওইদিন আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।