চীনের হুনান প্রদেশে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩৯ জন। ঘটনাস্থলে অভিযান চালাচ্ছে জরুরি উদ্ধারকারী দল। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে হুনানের চাংশা শহরে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ভবন ধসের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আটতলা ভবনটি হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট ও সিনেমার হল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। শনিবার (৩০ এপ্রিল) সিটি কর্তৃপক্ষ ভবন ধসের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনের রড ও কংক্রিটের স্ল্যাব কেটে বিশেষ শব্দ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। কেউ আটকে আছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে ভবন ধসের ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে ভবনটির মালিক ছাড়াও এটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত তিন ব্যক্তিও রয়েছে।
ভবনটির মিথ্যা নিরাপত্তা প্রতিবেদন দেওয়ার দায়ে আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভবনটি ধসে পড়ার কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
যেকোনো মূল্যে ভবনটির ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একইসঙ্গে তিনি এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে এ পর্যন্ত ছয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। চাংশার মেয়র ঝেং জিয়ানসিন জানিয়েছেন, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন মানুষ।
স্থানীয় একজন দমকল কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএনকে জানান, ধ্বংসাবশেষ সরাতে সেখানে ভারী যন্ত্রপাতির আনয়নের জায়গা সীমিত। ফলে উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোও শেষ পর্যন্ত ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা কর্মকর্তাদের। চীনে প্রায় সময় ভবন ধসে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। দুর্বল অবকাঠামোর কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।