বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) তাণ্ডব কয়েক দিন ধরেই নিম্নমুখী। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনার দাপট আরও কিছুটা কমেছে। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মারা গেছেন এক হাজার ৭৭৮ জন। একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৮৫ জন।
এর আগের দিন সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৯৭৭ জন। একই সময় ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হন ৪ লাখ ৫৮ জন। তার আগের দিন রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হন ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন। অন্যদিকে মারা যান ১ হাজার ৫২৪ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৫ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ৮০ জনে। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৬৩ লাখ ২৮ হাজার ৯২২ জন।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৩ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু ১০ লাখ ১৮ হাজার ৫৮২ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৯৭ জন সংক্রমিত হয়েছে। মৃত্যু ৫ লাখ ২২ হাজার ২২৩ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৯ জন এবং মোট মৃত্যু ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭৭৭।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার ৯১৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৭ জন।
পঞ্চম স্থানে উঠে আসা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত ২ কোটি ৪২ লাখ ২৭ হাজার ৬৮০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৭ জন।
আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৪২তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।