পাকিস্তানকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের দেয়া ২১৩ জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯৮ বল আর ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। মাত্র ৫৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন স্টিভেন স্মিথ ও শেন ওয়াটসন। স্মিথ ৬৫ রান করে এহসান আদিলের বলে এলবি’র শিকার হলেও ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়াটসন। ২৯ বলে ৪৪ রানের জড়ো ইনিংস খেলে তাকে সঙ্গদেন ম্যাক্সওয়েল। পাকিস্তানের ওহাব রিয়াজ দুটি সোহেল খান ও এহসান আলী একটি করে উইকেট দখল করেন। আগামী ২৬ মার্চ সিডনিতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ভারত।
স্কোর বোর্ডে বড় সংগ্রহ দাড় করাতে না পারলেও বোলিং কিন্তু পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিলো চমৎকার। ১৫ রানে ফিঞ্চকে হারিয়ে শুরুর আঘাতটা করেন সোহেল খান। এর পর ওহাব রিয়াজ ডেভিড ওয়ার্নার ও মাইকেল ক্লার্কের উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান। এহসান আদিল, ওহাব রিয়াজের বলে শেন ওয়াটসনের সহজ ক্যাচ ছাড়লে প্রতিরোধ গড়ে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ উইকেটে শেন ওয়াটসনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৯ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামালদেন স্টিভেন স্মিথ। মাত্র ৫১ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া স্মিথ আউট হন ব্যক্তিগত ৬৫ রানে। স্মিথের বিদায়ের পরে ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন ছুড়ি করে জয় নিশ্চিত করেন শেণ ওয়াটসন। এর আগে অ্যাডিলেড ওভালে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। মিচেল স্ট্যার্ক সরফরাজ আহমেদকে ফেরানোর পর জস হ্যাজেলউড বিদায় করেন আহমেদ শেহজাদকে। ২৪ উইকেট হারানোর পর হ্যারিস সোহেলের সঙ্গে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মিসবাহ। এরা দু’জন তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামালের চেষ্ঠা করেন। দলীয় ৯৭ রানে মিসবাহ (৩৪) ও ১১২ রানে হ্যারিস সোহেল (৪১) ফিরে গেলে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে পাকিস্তান। শহীদ আফ্রিদি (২৩) ও ওমর আকমল (২০) দ্রুত বিদায় নিলে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে পরে পাকিস্তান। শেষ দিকে শোয়েব মাকসুদের ২৯ এহসান আদিলের ১৫, ওয়াহ রিয়াজের ১৬ রানের কল্যানে লড়াই করার মতো পুজিপায় পাকিস্তান। অসিদের মারাত্মক বোলিংয়ে ৪৯.৫ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়ে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার জস হ্যাজেলউড চারটি, ম্যাক্সওয়েল ও স্ট্যার্ক দুটি করে মিচেল জনসন ও জেমস ফকনার একটি করে উইকেট দখল করেন। ।