মাদারীপুর: পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। জমিতে থাকা আধা পাকা ধান এখন পানির নিচে।
পদ্মা তীরের শত শত বিঘা জমির ধান তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানিতে তলিয়ে থাকা আধা পাকা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, গত ৪-৫ দিন ধরে পদ্মায় অস্বাভাবিকহারে পানি বাড়ছে। ফলে শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ী, বন্দরখোলা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী শত শত বিঘা ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষকরা পানিতে তলিয়ে যাওয়া সেই পাকা ও আধা পাকা ধান কেটে তুলছেন। দিন-রাত ধান তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন তারা। হঠাৎ পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় ধানের ক্ষেত এভাবে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
কৃষি বিভাগ থেকে এসব এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের মতে, ১৫০০ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। তবে কৃষকদের দাবি ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
কাঁঠালবাড়ীর এলাকার কৃষক হালেম শরীফ বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। ধানগুলো মাত্র পাকা শুরু করেছে, কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ পদ্মার পানি বেড়ে ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো রকমে অর্ধেক পরিমাণ পাকা ও আধা পাকা ধান কেটে তুলতে পেরেছি।
আরেক কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, পানিতে আমাদের জমির সব ধান তলিয়ে গেছে। এমনটা না হলে আর কয়েকদিন গেলেই ধান পুরোপুরি পাকতো। এখন বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে।
চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রায়হান সরকার বলেন, আমাদের চরের শত শত বিঘা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বেশির ভাগ ধান পাকেনি। এখন পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা দিন-রাত পানির মধ্যে থেকে সেই ধান কেটে তুলছেন। আগাম পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায় বলেন, হঠাৎ পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে নদী তীরবর্তী প্রায় ১৫০০ বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকদের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামীতে তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।