করোনাকালীন পুষ্টি পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। করোনার কারণে দারিদ্র্য পীড়িত মানুষের মধ্যে খাদ্য বৈষম্যের কারণে কম ওজনের শিশু জন্ম নেয়া, শিশুরা বেঁচে থাকলেও খর্বকায় হওয়া আবার উচ্চতা ঠিক থাকলেও অপুষ্টির কারণে কম ওজন বিশিষ্ট হয়ে বেড়ে উঠার প্রবণতা বেড়েছে। দারিদ্র্যের কারণে শিশুদের মধ্যে ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিডের ঘাটতি বেশ স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে শনিবার (২৩শে এপ্রিল) থেকে ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশে পালিত হতে যাচ্ছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। পুষ্টি সপ্তাহের এবারে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সঠিক পুষ্টিতে সুষ্ট জীবন’।
বাংলাদেশে ৩৬ শতাংশ স্ট্যান্টিং নিয়ে বেড়ে উঠছে। ইদানীং স্ট্যান্টিং (উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন) কমে গেলেও তা কাক্ষিত মাত্রায় কমছে না। দ্রুত পুষ্টির ঘাটতি কমিয়ে স্ট্যান্টিং কমিয়ে আনতে না পারলে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্য অনুযায়ী ২৭ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে না।
পুর্ণ বয়স্ক নারীদের মধ্যে কম ওজন পরিলক্ষিত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার মানুষ এবং হাওর এলাকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা খুবই কম। শহুরে এলাকার মানুষের মধ্যে পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতি হলেও শহুরে বস্তিতে খুবই খারাপ অবস্থা। বস্তিতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের অর্ধেকই স্ট্যানটিংয়ে ভুগছে। বস্তির এলাকার ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সী প্রতি ৪টি শিশুর মধ্যে একটি (২৫.৯ শতাংশ) যথাযথ পুষ্টি পেয়ে বড় হতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশনে (আইপিএইচএন) সাংবাদিকদের নিয়ে অবহিতকরণ কর্মশালায় ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন মামুন এসব তথ্য দেন। তিনি বলেন, পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকসমুহে বিশেষ সেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া পুষ্টি সপ্তাহে প্রতি জেলা ও উপজেলা, বিভাগে দুঃস্থদের মধ্যে সেদিন পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হবে। ইপিআই টিকা কেন্দ্রে আগত মায়েদের মধ্যে বিশেষ পুষ্টি বার্তা বিতরণ করা হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় মসজিদে জুমার খুতবায় এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে বিশেষ বার্তা প্রদান করা হবে।