রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলার মধ্যে দুটি হত্যা মামলার তদন্তভার পাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বাকি দুই মামলার তদন্ত করছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুইজন। তারা হলেন- ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়া এবং দোকান কর্মচারী মোরসালিন। সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়া নিহতের ঘটনায় বুধবার (২০ এপ্রিল) দিনগত রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিউমার্কেট থানার ওসি শ ম কাইয়ুম সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিহত নাহিদের চাচা মো. সাইদ যে হত্যা মামলাটি করেছেন, তা ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ডকেটসহ সবকিছু ডিবির কাছে দেওয়া হয়েছে।
আর মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাতে মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান নিউমার্কেট জোনের পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেন শাহ।
এছাড়া, সংঘর্ষের ওই ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা করেছেন নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান। একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। এ দুই মামলার তদন্ত নিউমার্কেট থানা পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন ওসি কাইয়ুম।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দুই দোকানির মধ্যে বিবাদ থেকে সূত্রপাত হয় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নিউমার্কেট এলাকা। ঘটনার দিন কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন নাহিদ। এ সময় সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি।
অন্যদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান মুরসালিন। স্বজনরা জানান, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে দোকান থেকে নামাজ পড়তে বের হন মুরসালিন। এরপর খবর আসে নূরজাহান মার্কেটের সামনে ইটের আঘাতে আহত হন দুই সন্তানের এই জনক। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে নেওয়া হয় আইসিইউতে। সেখানেই জীবনযুদ্ধে হেরে যান তিনি, বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।