কর্ণাটক : হিজাব পরে ঢুকতে না দেয়ায় ২ কলেজছাত্রীর পরীক্ষা বয়কট

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


হিজাব নিয়ে ভারত জুড়ে উত্তেজনার মধ্যেই তৈরি হলো নতুন বিতর্ক। কর্ণাটকের উদুপিতে হিজাব পরে আসার কারণে পরীক্ষা দিতে দেয়া হলো না দুই কলেজছাত্রীকে। ওই ছাত্রীরাও হিজাব ছাড়া পরীক্ষা দিতে রাজি না হয়ে পরীক্ষা না দিয়েই চলে যান।

জানা যায়, শুক্রবার উদুপির বিদ্যাদয় পিইউ কলেজের ওই দুই ছাত্রী হিজাব পরে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তা সরাসরি নাকচ করে দেয়। এদিন তাদের দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ছিল।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর নাম আলিয়া আসাদি ও রেশম। তারা রাজ্যের হিজাব আন্দোলনের অন্যতম সম্মুখযোদ্ধা।

তারা প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে পরীক্ষা পরিদর্শক ও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অনুরোধ করেন যেন তাদের হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার ও আদালতের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুমতি না পাওয়ায় তারা পরীক্ষা না দিয়ে কলেজ চত্বর থেকে বের হয়ে যান।

রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বি সি নাগেশ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, হিজাব পরা কোনো ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না।

হিজাবযোদ্ধা ১৭ বছর বয়সী আলিয়া আসাদি গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসাভারাজ বোম্মাইর কাছের আবেদন করে বলেন, ‘আপনার এখনো সুযোগ আছে, আমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করার।’

কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সমস্যার সমাধান হয়নি।

উল্লেখ্য, কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশনা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই ওই রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলো রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করেছিল। টানা প্রতিবাদের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে।

সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম শিক্ষার্থী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা যাবে না- এই মর্মে একাধিক মামলা হয়েছিল। সেই মামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম আলিয়া আসাদি ও রেশম। এবার তারা নিজেরাই পরীক্ষা দিতে পারলেন না।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *