ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী বেসরকারি লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামীকাল ১৮ এপ্রিল (সোমবার)।
যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আগাম টিকিটের জন্য দুই-একটি লঞ্চ ছাড়া সব কোম্পানির কাউন্টারেই ইতোমধ্যে আবেদন জমা পড়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস (ডাবল ট্রিপ) কবে থেকে শুরু হবে, তা এখনো ঠিক করেনি বিআইডব্লিইটিএ।
সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক ও বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম পিন্টু জানান, ঈদের আগে ও পরে দীর্ঘ ছুটির কারণে আগামী ২৮ থেকে ৩০ তারিখের পরে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কম থাকবে বলে মনে করছি। এছাড়া ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে লঞ্চের সংখ্যা, আকার ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেবিনের চাহিদা সব সময়ই থাকে। দেখতে হবে ডেকের যাত্রীদের অবস্থা। ডেকের যাত্রীদের চাপ না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাই ডাবল ট্রিপ চালাতে চাইছি না।
অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক নিজামুল ইসলাম জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে চাহিদার চেয়ে কেবিনের সংখ্যা কম। ঈদে কেবিনের চাহিদা থাকে কয়েক গুণ। ফলে আবেদনকারী সবাইকে কেবিন দেওয়া সম্ভব হয় না। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লটারির মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে টিকিট বিতরণ করা হবে। আগামী সোমবার লঞ্চগুলোর ঢাকা ও বরিশালের কাউন্টার থেকে কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস নিয়ে এখানো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আগামী ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিদিন ১০টি কোম্পানির লঞ্চ চলাচল করবে। ঘরমুখো মানুষের চাপের ওপর নির্ভর করবে এই রুটে বিশেষ সার্ভিসে কতগুলো লঞ্চ চলাচল করবে।