দীর্ঘ ৮ দিন ধরে যাবত ‘নিখোঁজ’ স্বামীকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। আজ বিকালে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এর সভাপতি অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তার গুলশানের বাসায় সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘ ৮ দিন ধরে নিখোঁজ হয়ে আছেন আমার স্বামী। আমরা এক অস্বস্তিকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন জানাবো শিগগিরই। নিখোঁজ স্বামী সন্ধানে দেশবাসীসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন সাবেক এই এমপি। কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তার পরিবারের অবস্থা জানিয়ে হাসিনা আহমেদে বলেন, ‘স্বামীর নিখোঁজের পর থেকে আমার ঘরে কোন রান্না-বান্না হয় না। পাশের বাসার ভাবিরা রান্না করে খাবার পাঠায়। বাচ্চারা কিভাবে আছে, কি খায় কিছুই বলতে পারি না। তিনি বলেন, আমার স্বামী যদি কোনো অপরাধ করে থাকে, তাহলে আদালতে হাজির করে বিচার করুন। একই সঙ্গে হাসিনা অভিযোগ করেন, আমার স্বামীকে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি না। এই ৮ দিনের মধ্যে গতকাল (সোমবার) এসবি’র একজন সাব ইন্সপেক্টর আমার সঙ্গে দেখা করেছে মাত্র। স্বামীর সন্ধানে সুশীল সমাজসহ দেশবাসীকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহবানও জানান তিনি। বিকাল ৪টার দিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতা জানাতে প্রফেসর ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও সহযোগী অধ্যাপক ইসরাফিল রতন গুলশানের ৭২নং সড়কের প্লাটিনাম রেসিডেন্সের বাড়িতে যান। তারা পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন। সালাহউদ্দিন আহমেদের নিখোঁজে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউসুফ হায়দার বলেন, ‘আমি এই ঘটনায় স্তম্ভিত। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কোন সভ্য দেশে এভাবে ৮ দিন ধরে একজন মানুষের খোঁজ পাওয়া যাবে না, তা হতে পারে। আমরা সরকারকে বলব, তাকে দ্রুত খুঁজে বের করে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নিন। সালাহউদ্দিন আহমেদকে একজন কৃতী ছাত্র, কৃতী প্রশাসক ও ভালো রাজনীতিবিদ হিসেবে অভিহিত করে তাকে ফিরে পেতে সুশীল সমাজসহ মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিকদের সোচ্চার হওয়ার আহবানও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ১০ই মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীল পরিচয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। তবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি স্বীকার করেনি।