করোনার কারণে বন্ধ থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেন ফের চালুর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক শেষে সোমবার (১১ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত আসে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে, ব্যুরো অব ইমিগ্রেশন এবং নিরাপত্তা বিভাগ ট্রেন চলাচলে সম্মতি দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং রেলওয়ের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা চলছে।
তবে বাংলাদেশ-ভারত রুটে জনসাধারণের জন্য ট্রেন চলাচল শুরুর আগে চিৎপুর, হরিদাশপুর সহ ট্রানজিট পয়েন্টগুলোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের প্রয়োজন। যদিও এ রুটে ট্রেন চলাচলের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দাবি করে আসছেন দুই দেশের নাগরিকরা।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ) দুই দেশের মধ্যে ফের ট্রেন চলাচল শুরুর প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ। প্রস্তুতির অভাবে তা সম্ভব হয়নি। তবে মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে এটা এখন এক সপ্তাহের মধ্যেই চালু করা সম্ভব।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-কলকাতা রুটে এবং বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচল করে। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ ট্রেন দুটি বন্ধ করা হয়।
গত বছরের ২৬ মার্চ আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালী এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের ট্রেন যোগাযোগ আবার চালু হলে এটিও চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।