মহান বিজয় দিবসে ১৬ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রো রেল। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চলার কথা থাকলেও প্রথম ধাপে চলবে আগারগাঁও পর্যন্ত।
উদ্বোধনের জন্য বর্তমানে দিয়াবাড়ী স্টেশনে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
রোববার মেট্রো রেলের প্রথম স্টেশন উত্তরা গিয়ে পরীক্ষামূলক সাইনেজ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, কিছুদিনের মধ্যেই বসবে চূড়ান্ত সাইনেজ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও যাত্রা শুরু হবে বিজয়ের দিন। ভাড়া নির্ধারণের জন্য সরকার একটা কমিটি করেছে। মেট্রো রেল আইন এবং মেট্রো রেল বিধিমালার ভিত্তিতে আমরা একটা প্রস্তাব সেই কমিটির কাছে পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আমরা বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করতে চাই। এটা আমরা বিবেচনায় রেখে আমাদের কার্যক্রম করে যাচ্ছি।
এমআরটি লাইন ৬ এ ভূমি অধিগ্রহণ, বর্ধিত অংশ নির্মাণসহ পাঁচটি খাতে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ’
তিনি আরো বলেন, ‘পাঁচটি খাত এটাতে যোগ হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ প্রধান খাত। আরো আছে আমাদের প্রাইস স্কেলেশন, সিডি ভ্যাট, আইটি ভ্যাট খাত। ’
মেট্রো রেল উত্তরা, মিরপুর পল্লবী, রোকেয়া স্মরণী, খামার বাড়ি, ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও প্রেসক্লাব হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত যাবে।
এর আগে ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্টকার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা।
মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করতে সক্ষম হবে।