অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরাজয়ের পর বিরোধীদলীয় নেতা পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ শরিফ বলেছেন, নতুন সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না। আমরা প্রতিশোধ নেব না। খবর জিও নিউজের।
দেশটির জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী শাহবাজ শরিফ।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতীয় পরিষদে সব নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি অতীতের তিক্ততায় ফিরে যেতে চাই না। আমরা তাদের ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা অবিচার করব না। অকারণে মানুষকে কারাগারে পাঠাব না। আইন ও বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না।
এছাড়া পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো বলেন, আমি গোটা জাতিকে ও পরিষদের সদস্যদের অভিনন্দন জানাই। অনাস্থা ভোট সফল করায় আমরা একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। এরমধ্য দিয়ে একজন ‘অগণতান্ত্রিক বোঝার’ (ইমরান) শাসনের ইতি ঘটেছে। আজ ১০ এপ্রিল আমরা পুরানা পাকিস্তানকে ফিরে পেয়েছি।
অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে ইমরানকে হটানোর জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটে হারা প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইমরান খান। তার পতনের মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।
২০১৮ সালের ২৫ জুলাই ১৪৯টি আসনে জাতীয় পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে পিটিআই। এরপর ইমরান খান আর ইপিএমএল-কিউ, এমকিউএম-পি, বিএপির সঙ্গে টক্কর দিয়ে সরকার গঠন করেন।
ওই বছরের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ইমরান খান। চলতি বছর ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হলো।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিন বছর সাত মাস ২৩ দিন (৪৩ মাস ২৩ দিন) দায়িত্ব পালন করেন।