শেরপুর: গত ২৯ মার্চ চার দিনের পাস নিয়ে একদল আলোকচিত্রী ফেমাস ট্যুরস বিডির পরিচালনায় এমবি গাঙচিলে করে পূর্ব সুন্দরবন বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে পাখি ও বন্যপ্রাণীর ছবি তুলতে গিয়েছিলেন। এবার ওই আলোকচিত্রীদের পাখি বা অন্যান্য বন্যপ্রাণীর চেয়ে মূল টার্গেট ছিল বেঙ্গল টাইগারের ছবি তোলা। চার দিনের মধ্যে এক এক করে প্রায় তিন দিন চলে গেছে। বাঘ দেখার আশা নিরাশায় দোল খাচ্ছে। ৩১ মার্চ বিকেলে কটকা অফিস পাড়ায় নামার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কটকা অফিসপাড়ার মোহনা থেকে ১০-১২ কিলোমিটার ভিতরের একটি খালে নিরাপদ স্থানে নোঙর ফেলে এমবি গাঙচিল।
বিকেল ৩টার পর কালামুখ-প্যারাপাখি খুঁজতে দেশী নৌকায় সুন্দরী খালে নেমে পড়েন আলোকচিত্রীরা। ভাটার কারণে সরু খালগুলোতে আর প্রবেশ সম্ভব না হওয়ায় বড় খাল ধরে নৌকা ছুটতে থাকে। বেঙ্গল টাইগারের কথা মনে হয় সবাই ভুলতেই বসেছে। এর মধ্যে গাইড রুবেলের চিৎকার বাঘ বাঘ বলে। সময় তখন বিকেল ৫টা। ঠিক খালের বামপাশের একটি কেওড়া গাছে আয়েশি বিশ্রাম করছে সুন্দরবনের রাজা ভয়ঙ্কর সুন্দর রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বেঙ্গল টাইগারের ছবি তুললেন আলোকচিত্রীরা।
আলো কমে যাওয়ায় বেঙ্গল টাইগারকে গাছে আয়েশি বিশ্রামরত অবস্থায় রেখেই এমবি গাঙচিলে ফিরে এলেন সবাই। বেঙ্গল টাইগারের এ ছবিটি তুলেছেন আমাদের শেরপুর সংবাদদাতা ও ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার মো: মুগনিউর রহমান মনি।