দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিং পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। সাদমানের পরিবর্তে তামিম ইকবাল ও তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেখানে বাংলাদেশ দলের কোনো ফরম্যাটেই জেতার রেকর্ড ছিল না আগে, সেখানে ইতোমধ্যে ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শুধু যে ম্যাচ জিতেছে তা-ই নয়, একেবারে সিরিজটাই জিতে নিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ডারবানে প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু প্রথম চার দিন ভালোভাবে খেলেও পঞ্চম দিনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে টাইগাররা।
এদিকে এই টেস্ট দিয়ে টানা এক বছর পর মাঠে ফিরছেন তামিম। যদিও আগের ম্যাচেই খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু ম্যাচের দিন সকালে পেটে ব্যথা হওয়ায় খেলতে পারেননি। মুমিনুল বলেন, ‘তামিম ভাইয়ের কন্ডিশন আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমরা পরের ম্যাচে খেলার জন্য আশাবাদী, ইনশাল্লাহ উনি খেলবেন।’
ডারবান টেস্টে তিন পেসারের সঙ্গে একজন স্পিনার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ দল। এ নিয়ে সমালোচিত হতে হয়েছে অধিনায়ক ও কোচকে। যেখানে খোদ দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী পেস ইউনিট থাকলেও দলে দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছিল। পরবর্তী সময়ে স্বাগতিক স্পিনারদের কাছেই টেস্ট হেরে বসে মুমিনুল হকের দল।
মুমিনুল হকের দাবি, ভেতরে-বাইরের সব চ্যালেঞ্জ সামলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হারার পর দলের মনোবল খারাপ থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক অনেক আত্মবিশ্বাসী।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ
ডিন এলগার, সারিল এরউই, কিগান পিটারসেন, টেম্বা বাভুমা, রায়ান রিকেলটন, কাইলে ভেরাইন্নে, উইয়ান মুল্ডার, কেশভ মহারাজ, সিমন হারমার, লিজাড উইলিয়ামস ও অলিভিয়ের।