ইসমাইল হোসেন, গাজীপুর: করোনার টীকা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে প্রতিপক্ষের ছুড়িকাঘাতে ইকবাল হোসেন(৪২) নামে একজন স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় শহীদ তাজউদ্দীর আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহসপতিবার সকাল ১১টায় গাজীপুর মহানগরের ৩১নং ওয়ার্ডে রাবেয়া-আনোয়ার নগর মাতৃসদন হাসপাতালের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পিতা ডাঃ আনেয়ার আলী ও মা বাবেয়া খাতুনের নাম সমন্বয় করে ওই হাসপাতালটির নামকরণ হয় রাবেয়া-আনোয়ার নগর মাতৃসদন হাসপাতাল। হাসপাতালটি মন্ত্রীর বাড়ির সামনেই অবস্থিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই হাসপাতালে নিয়মিতভাবে করোনার টীকা দেয়া হয়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ টীকা নিতে হাপসাতালে লাইন ধরেন। লাইন ধরে টীকা নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রন করতো স্থানীয় সেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী ইকবাল হোসেনের গ্রুপ। আজ বৃহসপতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা দিবস উপলক্ষ্যে একটি ব্যানার সামনে দিয়ে ছবি তুলতে সকলকে আহবান করা হয়। এসময় স্থানীয় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি টীকা কার্যক্রম বন্ধ করে ছবি তোলার ঘটনায় সমালোচনা করেন। পরবর্তি সময় আবার টীকা কার্যক্রম শুরু হলে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় সেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী ইকবাল হোসেনের উপর অতর্কিতে হামলা হয়। স্থানীয় ফয়েজ আহমদের ছেলে সোহাগ আহম্মেদ ইকবাল হোসেনকে ছুড়িকাঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ইকবালকে প্রথমে গাজীপুর মহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সোহাগের সাথে আরো ৫/৭ জন লোক ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রাবেয়-আনেয়ার নগর মাতৃসদন হাসপাতালের প্রকল্প ব্যবস্থাপক পাপিয়া রহমান জানান, আজ বৃহসপতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা দিবস উপলক্ষ্যে একটি ব্যানার সামনে দিয়ে ছবি তুলতে সকলকে আহবান করা হয়। এরপর আমাদের সামনেই একজনকে ছুড়িকাঘাত করা হয়। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পাপিয়া রহমান।