ইউক্রেনে তিন শতাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছে। এই প্রথম রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন গণহারে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হলো। ইউক্রেনের দাবি, ১২ থেকে ১৬ বছর বয়স্ক মেয়েদেরও ধর্ষণ করেছে রুশ সেনারা। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
খবরে বলা হয়, গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউক্রেনীয় তিন নারী ও এক পুরুষের মরদেহের ছবি ভাইরাল হয়। ফটোগ্রাফার মিখাইল পালিনচাকের দাবি, উদ্ধারের সময় ওই নারী মরদেহগুলো ছিল নগ্ন এবং অর্ধেক পোড়ানো। এরপরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে যৌন সহিংসতার অভিযোগ ওঠে। আন্তর্জাতিক আইনে ধর্ষণ যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এই ঘটনার একদিন পরেই তিন শতাধিক ধর্ষণের অভিযোগ আগে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে। বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনকে ধর্ষণ করছে। তারা আমাদের শহরগুলোতে বোমা ফেলছে, লুট করছে, হত্যা চালাচ্ছে এবং নারীদের ধর্ষণ করছে। রাশিয়ার সেনারা ধর্ষক এবং তাদের কোনো নৈতিক বোধ নেই।
এদিকে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা লা স্ত্রাদা’র প্রেসিডেন্ট ক্যাটেরিনা চেরেপাখা জানান, যুদ্ধের মধ্যে আমরা বহু নারীর ফোন পেয়েছি যারা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধের কারণে তাদের কাছে পৌছাতে পারিনি আমরা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা এসব যৌন সহিংসতার তদন্ত করে দেখবে। জাতিসংঘের কর্মকর্তা রোজামারি ডি-কার্লো বলেন, গণ ধর্ষণ এবং শিশুর সামনে ধর্ষণের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।