মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ দেশের বেশিরভাগ চরে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের সঠিক বিপণন ব্যবস্থা নেই। এ কারণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না চরের কৃষকরা, তাই তো বছরের পর বছর কম দামে পণ্য বিক্রি করে দরিদ্রতা দূর করতে পারছেন না তারা। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চরের মানুষদের স্বাবলম্বী করতে কাজ করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি(RDA) ও এর আওতাভুক্ত চর উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র (CDRC)।
বর্তমানে দেশের ১০ জেলার চরাঞ্চলে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকার “এমফোরসি প্রকল্পের”–এর সহায়তায় উৎপাদিত পণ্যের সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এতে ভাগ্য খুলছে কৃষকদের।
মূলত ব্রহ্মপুত্র, যমুনা আর তিস্তার চরে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের মান ভালো হওয়ায় এখন আগ্রহ বেড়েছে কোম্পানিগুলোর। ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়ের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া ওই জনগোষ্ঠীর গবাদিপশু পালনে প্রযুক্তিগত সুবিধা ও উচ্চ ফলনের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে মান-সম্মত বীজ।
কৃষি কর্মকর্তা-গন জানিয়েছেন, ওইসব চরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকার “এমফোরসি -প্রকল্পের” এর আওতায় কাজ শুরু করার পর ফসলের উৎপাদন বেড়েছে গড়ে দুই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি(RDA)-এর বগুড়া’র যুগ্ম পরিচালক ও মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দি চরসের (“এমফোরসি”)– এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মজিদ প্রামাণিক জানান, প্রকল্প শুরুর পর চরে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়েছে ফসলভেদে ২৫-৩০ শতাংশ। আর ফলন বেড়েছে গড়ে ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত। বিভিন্ন ফসলভেদে চাষের নানা পদ্ধতি তথা প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারায় কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম বেশি পাচ্ছে।
বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (RDA) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খলিল আহমদ জানান, চরাঞ্চলে যেসব ফসল উৎপাদন করা হয়, তা খুব কম মূল্যে বিক্রি হওয়ায় ওইসব মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আর এ বিবেচনায় এমফোরসি প্রকল্পের সহায়তায় চরের পণ্য কিনতে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে। যাতে তারা সরাসরি চর থেকে এসব পণ্য কিনলে চাষিরা ভালো দাম পায়। ইতোমধ্যে এসিআই অনেক আগে থেকে ভুট্টা কিনছে। আফতাব গ্রুপ পণ্য কেনা শুরু করেছে।’