ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পাকিস্তানের ক্যাবিনেট সচিবালয়।
সংবাদ সংস্থা জিও নিউজের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পাকিস্তানের ন্যশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার পরে ইমরান খান আর প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল নেই।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থাভোটের দাবি তুলেছিলেন। সেই ভোট হওয়ার কথা ছিল রোববার (৩ মার্চ)। কিন্তু অনাস্থা-প্রস্তাব বাতিল করেন ডেপুটি স্পিকার। এর পরেই প্রেসিডেন্টের কাছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান ইমরান। তার প্রস্তাবমতো অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। ফলে মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না ইমরানও।
অনাস্থা-প্রস্তাব বাতিল করা প্রসঙ্গে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি বলেন, সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিতে দেয়নি। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দল সংসদ ছাড়ছে না। আমাদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গেছেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে কোনো প্রধানমন্ত্রীই নিজেদের পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করেননি।
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিরোধীরা এই এটি মানতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্টে এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছে। সোমবার (৪ মার্চ) মামলার শুনানি হবে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খাজা হারিস আল জাজিরাকে বলেছেন, আমার কোনো সন্দেহ নেই যে আদালত সরকারের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, আদালত স্পিকারকে অনাস্থা ভোটেই যেতে বলতে পারে।
পাকিস্তানের সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ হারিস বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের প্রক্রিয়া ভোট ছাড়া এই পদ্ধতিতে শেষ করা যাবে না।
হারিস বলেন, যদিও অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি রোববার (৩ এপ্রিল) হওয়ার কথা ছিল। আদালত পরবর্তী তারিখে ভোট হওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। অচলাবস্থা দেখা দিলে দেশের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নিতে পারে।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে, অনাস্থা প্রস্তাবে সংসদে যা ঘটেছে তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।