জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের নতুন খতিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন গোপালগঞ্জের জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলামের (গওহরডাঙ্গা মাদরাসা) প্রিন্সিপাল মুফতী রুহুল আমীন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মুফতী রুহুল আমীনের ছেলে মুফতী ওসামা আমিন নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানান, সরকারিভাবে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি এবং অফিসিয়ালি কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।
অন্যদিকে গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহাদ্দিস ও শুকরানা মাহফিলের উপস্থাপক মুফতী সৈয়দ মাকসুদুল হক নয়া দিগন্তকে জানান, হয়তো হুজুর শুক্রবার জুমাও পড়াবেন।
গত ৩ ফ্রেব্রুয়ারি বায়তুল মোকাররমের সাবেক খতিব অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন মারা যাওয়ার পর পদটি এতদিন খালি ছিল।
অবশেষে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর তার স্থলাভিষিক্ত হলেন মুফতী রুহুল আমীন।
মুফতী রুহুল আমীন দেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ:-এর ছেলে। তিনি আল হাইআ’তুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ’র সদস্য। একাধারে তিনি কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদসার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
তার বাবা উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাওলানা হুসাইন আহমাদ মাদানীর একান্ত শিষ্য এবং ফরিদাবাদ, বড় কাটারা, লালবাগ মাদরাসাসহ দেশের অসংখ্য মসজিদ-মাদরাসা তার প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
কওমি মাদরাসা ঘরানায় তার বাবার অবদান অপরিসীম। বর্তমানে দেশের অনেক প্রখ্যাত আলেম তার বাবার সরাসরি ছাত্র। শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতী আমিনীর মতো আরো অসংখ্য ছাত্র তার বাবা নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন।
মুফতী রুহুল আমীনও কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে যথেষ্ঠ অবদান রেখেছেন।
স্বীকৃতির পর ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘শোকরানা মাহফিলে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি ‘কওমি জননী’ উপাধিতে ভূষিত করেন।