করোনায় দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রোজার বেশিরভাগ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে হিসেবে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব স্কুল-কলেজে ক্লাস চলবে।
সোমবার (২৮ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
একই আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে এবার প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু থাকবে ২০ রমজান পর্যন্ত। এবার রোজায় ৪ নির্দেশনায় চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম ২০ রমজান পর্যন্ত চালু থাকবে। শুধু রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি শ্রেণিপাঠদান পরিচালনার জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ পালন করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয়ে সরাসরি শ্রেণি পাঠদান সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের রুটিন ও পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত ক্লাসসমূহ বিন্যস্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
পবিত্র রমজান মাসে বিন্যস্ত রুটিনে নামাজের জন্য ৩০ মিনিট বিরতি থাকবে। প্রধানশিক্ষকরা প্রস্তুতকৃত রুটিনটি সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করবেন।
এদিকে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। রিটে ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। রোববার (২৭ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।