দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতালে সমর্থন ও সফল করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
সোমবার হরতাল শেষ হওয়ার পর এক বিবৃতিতে অভিনন্দন জানায় বাম জোটের শরিক দলটি।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আধা বেলা হরতাল পালন করে বাম জোট।
বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের আয় সীমিত হয়ে যাওয়ার সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। বরং সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করে চলেছে। এমনকি দেশের মানুষের কথা উপেক্ষা করে অযৌক্তিকভাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। এর বিরুদ্ধে হরতালের মধ্য দিয়ে মানুষ তাদের রায় ঘোষণা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হরতালের আগে বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁওসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়েছে। ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মাইক ভাড়া দিতে নিষেধ করা হয়েছে। গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, খুলনা ও ঢাকায় ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকায় পল্টন মোড়, মোহাম্মদপুর, মিরপুর এবং নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
তারপরও সিপিবিসহ বাম জোটের নেতা-কর্মীরা ধৈর্য ধরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সিপিবির শিল্পী আক্তার, হযরত আলী, হোসেন আলী, মিয়া মো. জুয়েল, নুরুল ইসলাম গাজী, ছাত্র নেতা দীপক শীল, সুমাইয়া সেতু, সালমান রাহাত, মহিউদ্দিন রুমি, প্রিজম ফকির, আরমান, রাইসা, শাওন বিশ্বাস, রাকিব হাসান সুজন, কাওসার আহমেদ রিপন, শিতাংশু ভৌমিক।
বিবৃতিতে দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্তভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের বাফার স্টক, উৎপাদক ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা, পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের রেশনিং চালু ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়।