গাজিপুরে পুলিশের গুলিতে শিবির নেতা ফরিদ আহামেদ নিহত হওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী সন্ধায় শিবির নেতা ও আজিমউদ্দিন কলেজের ইন্টার ১ম বর্ষের মেধাবী ছাত্র ফরিদ আহমেদের বাড়ীতে কোন কারণ ছাড়াই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতায় জয়দেবপুর থানার ওসি’র নেতৃত্বে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে মা-বাবার সামনেই কাছে থেকে তার উপর গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। এতে ফরিদ আহমেদসহ কয়েকজন আহত হয়। সেখানে তাদের মূমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় পুলিশ। দ্বীর্ঘ দিন চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থায় আজ বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। অভিযানের নামে ডাকাতের মত মা-বাবার সামনে এভাবে একজন তরুণ ছাত্রকে গুলি করা কোন পুলিশের কাজ হতে পারেনা। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ও মানবাধিকারের চরম লঙ্গন। এই হত্যাকান্ড কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং অবৈধ সরকারের জাতি বিনাশী ষড়যন্ত্রেরই অংশ। পুলিশ অবৈধ সরকারের বেআইনি নির্দেশ পালন করতে নৃশংসতার নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করে চলেছে। এমন অমানবিক ও দায়িত্বহীন আচরণ তাদের প্রতি জনগণের আস্থার স্থানে ঘৃণার জন্ম দিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করে বলেন, জনগণ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে পুলিশকে লালন করে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য, কোন মায়ের বুক খালি করার জন্য নয়। পুলিশ যদি এভাবে দায়িত্বের বদলে রাজনৈতিক অবস্থানকে বড় করে দেখে তাহলে তাদের উচিৎ পবিত্র দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে ভূমিকা রাখা। জনবিচ্ছিন্ন সৈরাচারী সরকারের সেবাদাসের ভূমিকা পালন করা পুলিশের পবিত্র অবস্থান এবং জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে বর্বর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করুন। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনুন। অন্যথায় রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবেনা। যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য লজ্জা ছাড়া সুনাম বয়ে আনবে না।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি সকল আচরণ পরিহার করতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।