সবার জন্যে গণ রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মানুষের আয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ করে মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এখন রেশনিংয়ের ব্যবস্থা এতটাই নাজেহাল যে মধ্যবিত্তদেরকেও টিসিবির লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। টিসবির ট্রাকে করে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা জনগণের জন্য অপমানজনক, কতটুকু অপমানজনক – তারা তা বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে হরতালের সমর্থনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সাকি বলেন, সরকার যেখানে সেখানে মেগা প্রকল্প করছে এবং সেগুলোর নাম করে তার লোকেরা দুর্নীতি করছে। আর প্রজেক্টের অর্থের জোগান দিতে সরকার জনগণের পকেট কাটছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। তারা বলছে সিন্ডিকেট এগুলোর দাম বাড়াচ্ছে।
আবার এটাও বলছে যে, সিন্ডিকেট দমন করতে তারা অক্ষম, তারা বিরোধী পক্ষের ওপর র্যাব-পুলিশ দিয়ে তাদের দমন করতে পারে কিন্তু সিন্ডিকেট দমন করতে পারে না। এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়, তারাই সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে।
আগামী ২৮ তারিখের হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৮ মার্চের হরতাল সরকার পতনের আন্দোলনের প্রথম ধাপ হবে। বিভিন্ন জায়গায় সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন (ছাত্রলীগ) হামলা করতে পারে। আমাদের সেসব শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। এরপর আর বাংলাদেশে ভোট-ডাকাতি করতে দেয়া হবে না।
সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শাহবাগ মোড় হয়ে কাঁটাবন ঘুরে নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।