মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ৯ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের জন্য জনমত গঠন অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণহত্যা দিবসের সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ৭ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায় এমন তথ্য এসেছে, যেটি সঠিক নয়। ওই দিন অন্তত ২৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেনোসাইড স্কলার ড. হেলেন জারভিস ও ফাউন্ডিং প্রেসিডেন্ট অব জেনোসাইড ওয়াচের প্রফেসর গ্রেগরি স্ট্যানটন।
বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সমর্থন দেন তারা।
প্রসঙ্গত, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা, যা এ বছরই ৫০ বছর পূর্ণ করল।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয় বাংলাদেশে। সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, গণহত্যা দিবসে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। এ সময় সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। তবে, ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে। কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো ব্ল্যাক আউটের আওতামুক্ত থাকবে।