বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সংগ্রহ খুব বেশি ছিল না। তবে ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টাইগ্রেসদের তোপে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪১ রানেই ৪ উইকেট হারানো অজি নারীরা ৭০ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। দাপুটে বোলিংয়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবে সেই স্বপ্নে পানি ঢেলে দিয়েছে বেথ মুনি ও অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড জুটি। দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা।
শুক্রবার ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের পরিধি কমিয়ে আনা হয় ৪৩ ওভারে। বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে টাইগ্রেসরা।
জবাবে ৬৫ বল হাতে রেখেই জয় বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন মুর্শিদা খাতুন ও শারমিন আক্তার। ওপেনিং জুটিতে ৩৩ রান করেন দুই ব্যাটার। মুর্শিদা ১২ রানে আউট হওয়ার পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাঘিনীরা। ৯৫ রানের ভেতরে পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ফেলে জ্যোতির দল।
ষষ্ঠ উইকেটে লতা মন্ডল ও সালমা খাতুন প্রতিরোধ গড়েন। ধীরগতিতে ৩৭ রানের জুটি গড়েন দুই ব্যাটার। ৬৩ বলে ৩৩ রান করে মাঠ ছাড়েন লতা। ২৩ বলে ১৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন সালমা।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনার ও জেস জেনাসেন দুইটি করে উইকেট নেন।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেম উদ্বোধনী জুটিতে ২২ রান পায় অস্ট্রেলিয়া। এলিসা হিলিকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন সালমা খাতুন। পরের ওভারেই মেগ ল্যানিংকে বোল্ড করেন সালমা। ঠিক তারপরের ওভারেই র্যাচেল হেইনসকে শিকার করে অস্ট্রেলিয়াকে ভীষণ চাপে ফেলে দেন সালমা খাতুন। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
তাহলিয়া ম্যাকগ্রাথকে নাহিদা আক্তার ও গার্ডনারকে রুমানা আহমেদ সাজঘরের পথ দেখান। ৭০ রানের ভেতরেই অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচ জমিয়ে জয়ের স্বপ্নও দেখে বাংলাদেশ। কিন্তু সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতেই একপ্রান্তে দাপুটে ব্যাটিং করতে থাকেন বেথ মুনি। অর্ধশতক তুলে নেন এই অজি ব্যাটার।
মুনির অর্ধশতকের সুবাদে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ উইকেটে মুনি ও অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড ৬৬ রানের অবিছিন্ন জুটি গড়েন।
বাংলাদেশের সালমা খাতুন ৯ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান নাহিদা আক্তার ও রুমানা আহমেদ।