দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দলের উসকানি, হামলা ও আক্রমণ মোকাবেলা করে আগামী ২৮ মার্চ হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে বাম জোট আহুত ২৮ মার্চের হরতালের গণসংযোগ ও প্রচার মিছিলে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি দল ও পুলিশের হামলা, আক্রমণ ও বাঁধাদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে বাম জোটের প্রচার ট্রাকে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে জোটের ১৫ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। সিরাজগঞ্জে হরতালের গণসংযোগে কোনো উসকানি ছাড়াই পুলিশ হামলা ও বাধাপ্রদান এবং নেতাকর্মীদের হেনস্তা করেছে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বাম জোটের কর্মসূচিতে হামলা ও আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা সরকারের অস্থিরতা প্রমাণ করে। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে তারা বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মানুষকে রক্ষার জনদাবির একটি কর্মসূচিতে এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলা আক্রমণ চালিয়ে সরকার শেষ রক্ষা করতে পারবে না। এই ধরনের হামলা আক্রমণ সরকারের দমনমূলক স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। যা মোকাবেলা করেই ২৮ মার্চ দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল সফল করতে হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক।