এখন প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা ৩৬ পয়সায়। গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা ১১ পয়সা বাড়িয়ে ১২ টাকা ৪৭ পয়সা নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি (মূল্যায়ন) কমিটি।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবিত দামের ওপর গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়। শুনানিতে বলা হয়, পেট্রোবাংলা গ্যাসের ঘনমিটার প্রতি ১৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।
কমিটির পক্ষ থেকে মূল্যায়ন কমিটির প্রধান দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গ্যাস আমদানির তথ্য যাচাই করেছি। সে হিসাবেই এই দামের সুপারিশ করেছি। ’
এদিকে পেট্রোবাংলা প্রস্তাবিত দরের ওপর গণশুনানি শেষে বিকালের অধিবেশনে গ্যাসের সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। শুনানিতে গ্যাসের সঞ্চালন চার্জ প্রতি ঘনমিটারে শূন্য দশমিক ৪২৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৭৩০৭ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে শূন্য দশমিক ৮৬৫৮ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কম্পানি (জিটিসিএল)। এর বিপরীতে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য শূন্য দশমিক ৪৮৯০ টাকা করার সুপারিশ করেছে।
শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
শুনানির শুরুতে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘বিইআরসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার নির্ধারণ করে আসছে। কমিশন হচ্ছে আধাবিচারিক ব্যবস্থা, এখানে যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে মূল্যহার নিধারণ করা হয়। ’
শুনানিতে জিটিসিএল জানায়, গ্যাস ট্রান্সমিশন চার্জ (গ্যাস সঞ্চালন ট্যারিফ) প্রস্তাবিত দরে না বাড়ানো হলে, জিটিসিএলের পক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন, কম্প্রেসর স্টেশন, গ্যাস ট্রান্সমিশন গ্রিড ও আনুসঙ্গিক স্থাপনা পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ সম্ভব হবে না।