অন্তর্বর্তীকালীন অর্ডারের আগে যেসব ছাত্রী হিজাব বিতর্কের কারণে পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাননি তারা পরীক্ষা রি-টেকের সুযোগ পেতে পারেন। এমনই আশ্বাস মিলেছে কর্নাটক সরকারের তরফে।
তবে অর্ডারের পর যারা ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষা বয়কট করেছেন, তারা আর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন না। অর্ডারের আগে যারা পরীক্ষা দেননি তাদের বিষয়টি মানবিকতার সাথে দেখা হচ্ছে।
মনে করা হচ্ছে খানিকটা আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে পরীক্ষা দেননি। তাই তাদের ব্যাপারটা বিবেচনা করা প্রয়োজন। এভাবেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন কর্নাটকের আইন বিষয়ক মন্ত্রী মধুস্বামী।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন কর্নাটক হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস ঋতুরাজ আবস্তি, জাস্টিস কৃষ্ণ দীক্ষিত এবং জাস্টিস জে এম কাজিকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ। অন্যদিকে, পরীক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বার সুযোগ দেয়ার জন্য সওয়াল করেছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়ক কৃষ্ণ গৌড়া।
এদিকে হিজাব পরে যাওয়ার ‘অপরাধে’ মাস দেড়েক আগে যাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল, কর্নাটকের উদুপির সেই কলেজছাত্রী আলিয়া আসাদি হতাশা প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের রায়ের পর। হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে দায়ের হওয়া সমস্ত পিটিশন মঙ্গলবার খারিজ করেছে কর্নাটক হাইকোর্ট।
জানিয়েছেন, হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়। এর ফলে হাইকোর্টে জয় হয়েছে বিজেপি পরিচালিত কর্নাটক সরকারেরই।
আলিয়া জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক পরিচালিত ওই কলেজে তিনি আর ক্লাস করার কথা ভাবছেন না। আর তার বাবার কথায়, দেখি, হিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতি দেবে এমন কোনো কলেজের সন্ধান পাই কি না।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন