পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। এর মধ্যেই দেশি মসুর ডালের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। চিকন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা। কমেছে চিনি ও পেঁয়াজের দাম।
প্রায় সব জায়গায় বোতলের সয়াবিন তেলের দাম স্থিতিশীল থাকলেও খোলা তেলের দাম বাড়তি।
ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগের বিভিন্ন বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে। ঢাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক দিন ধরেই চাল, তেল ও চিনির দাম বাড়তি। পাশাপাশি আটা-ময়দার দামও বেড়েছে। রোজার মাসে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি, গত ১৫ দিনে সেসবের দামও বেড়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনাসহ প্রায় সবখানেই চিকন চালের দাম প্রকারভেদে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালে চিকন মসুর ডালের দাম ১০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজ ও চিনির দাম সবখানেই কমেছে। এ ছাড়া সয়াবিনের বোতলের দাম সবখানেই অপরিবর্তিত আছে। তবে খুচরায় খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ১০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
দেশের অনেক এলাকায় এখনো সবজির দাম চড়া। এই সময় শীতের সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও চাহিদা বেশি থাকায় তা হয়নি। বরিশালে বেশির ভাগ সবজির দাম চড়া। সিলেটে করলা, বরবটি ও লেবুর দাম এখনো চড়া। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন সবজির দাম সহনশীল পর্যায়ে থাকলেও খুচরা বাজারে গিয়ে দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, মোটা চাল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিকন মসুর ডাল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও বড় মসুর ডাল ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা কেজি ৩৫ টাকা, প্যাকেট ৪৫ টাকা এবং খোলা ময়দা কেজি ৫০ টাকা, প্যাকেট ৬৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চিনির কেজি খোলা ৮০ টাকা, প্যাকেট ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোলা ৭৫ টাকা, রসুন (চায়না) ১৩০ টাকা ও দেশি রসুন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকা, দেশি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের পেঁয়াজ কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। ডিম হালি ৪০ টাকা ও ডজন ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া ঢেঁড়স ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ও পাতাকপি ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা ও মটরশুঁটি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে টিসিবির দেওয়া গতকালের তথ্য অনুযায়ী, সরু চাল (মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল) কেজি এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চাল বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা। মোটা চাল এক টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। খোলা ময়দা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, প্যাকেট ময়দা ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।