এবার বইমেলা হবে কি না সেটাই নিয়েই দ্বন্দ্বে ছিলেন কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ এই দ্বন্দ্বের কারণ। তাই নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়নি বইমেলা। বিলম্বে শুরু হলেও বই বিক্রি ছিলো এবার সন্তোষজনক।
বাংলা একাডেমির হিসাবে, এবার মেলায় মোট বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকার। এর মধ্যে বাংলা একাডেমির বই বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার। যেখানে ২০২১ সালে মোট বই বিক্রি হয়েছিল ৩ কোটি টাকার। সেদিক থেকে এবার সাড়ে ১৭ গুণ বেশি টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলার শেষ দিনে মূল প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানান বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ড. মো. জালাল আহমেদ।
এবার মেলায় মোট বই প্রকাশ হয়েছে ৩ হাজার ৪১৬টি। এর মধ্যে ‘মানসম্পন্ন’ বই নির্বাচিত হয়েছে ৯০৯টি। যা পুরো বইয়ের ২৬ শতাংশ। ২০২০ সালে এ হার ছিল ১৫ শতাংশ।
মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, ‘এবারের মেলা স্থগিত হয়ে গিয়েছল মূলত। সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল মেলা হবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ তারিখ মেলা শুরু হয়। শঙ্কার মধ্য দিয়ে সফল সমাপ্তি হয়েছে মেলার। আমার ধারণা মেলায় মোট বিক্রি ১০০ কোটি হয়েছে। কিন্তু প্রকাশকেরা সত্য বলতে চান না। সত্য বললে ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হবে তাই। এবারে বইমেলা শুধুই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হয়েছে। আমার সাহস হয়নি এ মেলা করার।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা প্রমুখ।
বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল গত সাত বছরে বইমেলায় মোট ৩৭৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ২০১৪ সালে বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকার বই, ২০১৫ সালে ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০১৭ সালে ৬৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে ৭০ কোটি টাকা, ২০১৯ সালে ৮০ কোটি টাকা, ২০২০ সালে ৮২ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়।