বঙ্গবন্ধুকে ত্রিকালদর্শী পুরুষ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তিনি অতীত জানতেন, বর্তমান বুঝতেন ও ভবিষ্যত পড়তে পারতেন। তার ইতিহাসবোধ বাঙালি জাতীকে দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
আজ বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে তার দর্শনই বারবার পথ দেখায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলী প্রকাশিত হয়েছে তার কিশোরজীবন থেকেই। তিনি সমগ্র বাঙালিকে নিয়েই ভাবতেন। তার এই ভাবনাই তাকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছিল। তিনি সবসময় বাঙালির স্বাধীনতা এবং মুক্তির কথা একসঙ্গে বলেছেন, বারবার বলেছেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাঙালির মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সেই মুক্তির পথ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে তার দেখানো পথেই বাঙালি জাতি মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানুষের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা খুব গভীর ছিল। তার ডাকে সব মানুষ এক হয়ে যেতো। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণের মধ্যে অনেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বললেও তিনি তা দেননি। তিনি ভবিষ্যৎ বাণী করতে পারতেন। তার ভিত্তিতে সব পদক্ষেপ নিতেন। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেছেন। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীন নয়, বরং সব ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে বলেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুরর মতো কেউ ছিলেন না। এই বাংলাদেশ সৃষ্টি এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধুর অপরিহার্যতা অপরিসীম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ইসলামী বিশ্বিবদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ড. হারুন রশীদ, ডেপুটি এডিটর, জাগোনিউজ২৪ ডটকম।
সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।