ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিক থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কবাণী সত্ত্বেও তারা এই সফর করেছেন। কিয়েভে তখন কারফিউ চলছিল। তিন প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের মূলহোতা ছিল পোল্যান্ড।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ পোলান্ডের সামরিক জেটের উড্ডয়ন রাশিয়ার কাছে বিপজ্জনক উসকানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে তখনও এটা পরিষ্কার ছিল না যে কখন তাদের বহনকারী ট্রেন ওয়ারশতে ফেরত আসতে পারবে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউস মোরাভিয়েস্কি বলেছিলেন, নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানীতে।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় কারফিউ জারি হবার পর কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিন প্রধানমন্ত্রী।
চেক নেতা ইউক্রেনীয়দের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ‘একা নন’। রাশিয়া অভিযান শুরুর ২০ দিনের মাথায় এই দলটিই প্রথম যারা পশ্চিমা নেতাদের মধ্য থেকে ইউক্রেন সফর করলেন।
পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আপনাদের এই সফর ইউক্রেনের প্রতি শক্তিশালী সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল এক টুইট বার্তায় জানান, তিন নেতার সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক নিষেধাজ্ঞা ও রাশিয়ার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বারবার নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করতে পশ্চিমা দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন জেলেনস্কি। তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর আশঙ্কায় বিষয়টি কর্ণপাত করছেন না বিশ্বনেতারা।
অন্যদিকে রুশ-ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি। মঙ্গলবার তিনি জানান, আগামী সপ্তাহে ইউরোপ সফরে যাবেন বাইডেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভেসেলি নেবনজিয়া বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষগুলো পূরণ হলেই কেবল এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।