মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে রাস্তায় নামুন : মির্জা ফখরুল

Slider রাজনীতি

সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণ কেমন আছে-তা দেখতে এমপি-মন্ত্রীরা রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এসি রুমে বসে মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারছেন না ক্ষমতাসীনরা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক কৃষকদল নেতা সাধন মিয়া সম্রাটসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীনরা বলছে-দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। সাধারণ মানুষের বার্ষিক আয় কিন্তু ১৫ হাজার টাকার বেশি নয়। তার থেকে ক্ষমতাসীনদের আয় অনেক বেশি। মাসে এক হাজার কোটি টাকা যাদের আয়, তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের গড় আয় মিলিয়ে জনগণকে বোকা বানাচ্ছে সরকার। মাথাপিছু আয়ের মিথ্যা বক্তব্য আর উন্নয়নের বুলি শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া কিছু নয়। দেশের মানুষকে এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বোকা বানাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে-তখনই তারা এ দেশকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলেছে। ১৯৭৪ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, তখন এ দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তখন না খেয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। আজকেও দেশে সেই একই অবস্থা বিরাজ করছে। মা তার সন্তানকে খেতে দিতে না পারার কারণে সন্তানের মুখে বিষ তুলে দিয়ে নিজে বিষ খেয়ে মরছে। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে মরছে। গলায় দঁড়ি দিয়ে মরছে। অহরহ ঘটছে এসব। এই অবস্থায় জনগণের সঙ্গে রসিকতা করে, মশকরা করে বলা হয় জনগণের আয় বাড়ছে। জনগণ ভালো আছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইলেকশন কমিশনের নতুন নাটক শুরু হয়েছে। নাটক হচ্ছে। বিভিন্ন পেশার ও স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলছে। গত পরশু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, এসেছে মাত্র ১৩ জন। সেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেছেন, এই তামাশাগুলো কেন করছেন? নির্বাচনকালীন সময়ে নিরেপক্ষ সরকার যদি না থাকে-তাহলে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, এ অবস্থার নিরসনে এখন দরকার জনগণের সরকার। জনগণের সরকার করতে হলে অবশ্যই একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। যা আওয়ামী লীগের অধীনে কখনই হবে না। এক্ষেত্রে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। দেশের সব মানুষকে ঐকবদ্ধ করে একটা দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *