চীনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও সরবাহ বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা প্রশমিত হওয়ার পর মঙ্গলবার এমন খবর এসেছে।
ব্রেন্ট ফিউচারের প্রতি ব্যারেলের মূল্য ছয় দশমিক ৪০ ডলার কিংবা পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১০০ দশমিক ৫০ ডলার হয়েছে।
আর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ছয় দশমিক ৩৫ ডলার ও ছয় দশমিক এক শতাংশ কমে ৯৬ দশমিক ৬৬ ডলার হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারির পর ব্রেন্টের দাম সর্বনিম্ন কমে হয়ে যায় ৯৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯৩ দশমিক ৫৪ ডলারে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের একটি বিবৃতির পর তেলের দাম খাড়া কমে গেছে। ২০১৫ সালের ইরানের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার অনুকূলে মত দিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার দাবি কারণেই সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা বন্ধ ছিল। চুক্তিটি কার্যকর হলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাবে। উপসাগরীয় দেশটি ফের তেল রফতানির বাজারে ঢুকতে পারবে।
চীনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর তেলের দাম আগের দিনের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কমে যায়। এদিকে মঙ্গলবার রাশিয়া-চীনের শান্তি আলোচনা আবার শুরু হওয়ায় বাজারে স্বস্তি ফিরেছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার পরেও দেশটি থেকে তেল কিনতে চীন ও ভারতকে বিরত রাখতে পারেনি।