পাঁচ রাজ্যে ভোট বিপর্যয়ের দায় নিয়ে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। অবশ্য দাবি উঠছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তাতেই ঘৃতাহুতি হয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মনিপুরের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় ফল। পাঞ্জাবে সরকারে ছিল কংগ্রেস। ভোটের কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অমরিন্দর সিংহকে বদলে আনা হয় চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে। কিন্তু তাতেও ভোটে সুবিধা হয়নি। উল্টে তুলনায় নবীনতম রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির কাছে কার্যত উড়ে গিয়েছে তারা। উত্তরপ্রদেশে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকে। ভোট শতাংশ সর্বকালীন তলানিতে পৌঁছেছে। গোয়াতেও সরকার গড়ার ধারেকাছে পৌঁছতে ব্যর্থ কংগ্রেস।
পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশের পরই গান্ধী পরিবারের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের নেতারা। চাপ বাড়ছিল শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। এই পরিস্থিতিতে শোনা গেল, রোববার কংগ্রেস কার্যকরী সমিতির বৈঠকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন সনিয়া গান্ধী। পদ ছাড়তে পারেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। ২০১৯-য়ে লোকসভায় খারাপ ফলে দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল, তার পর থেকে অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন সনিয়া। সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কাকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
তবে অতীত অভিজ্ঞতার নিরিখে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, গান্ধীর ইস্তফা আদৌ গৃহীত হবে কি? রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ বলছে, রোববার বৈঠকে হারের নৈতিক দায় নিয়ে তিন জন ইস্তফা দিতে চাইলেও, সিডব্লুসি-র বাকি সদস্যরা তাতে রাজি হবেন তো? এর আগেও একাধিক বার গান্ধীর ইস্তফা নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। ফলে ইস্তফা দেয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও, আদতে ইস্তফার ঘটনা ঘটবে কি না তা নিয়েই সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।
সূত্র : আনন্দবাজার