রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আগ মুহুর্তে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মৌডুবি বাজার সংলগ্ন মনিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ শেষে নৌকা নৌকা মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চেয়ারম্যান অনুশারিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের যোগ দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ইলিয়াস মাহমুদ শিপনের লোকজন মৌডুবি বাজারের ইমপ্রেস কিন্ডার গার্টেন এন্ড হাইস্কুলে (সম্মেলন স্থানে) যাওয়ার পথে মনিপাড়া এলাকায় পথরোধ করেন চেয়ারম্যানের লোকজন। এবং তাদের ধাওয়া করেন। ফলে উভয় পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এবং তিন দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে দু’পক্ষের ১১ কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, খাসমহল এলাকার মালেক দালালের ছেলে খলিল দালাল(৪২), ভুইয়াকান্দা গ্রামের নেসার মুন্সির ছেলে নুরজামাল মুন্সি (৩৫), মাঝের দেওর এলাকার নাসির দালালের দুই ছেলে সুজন দালা (২৬) ও সোহাগ দালাল (৩৬), খাসমহল এলাকার সোহরাব গাজীর ছেলে আঃ জলিল (৩৬),আলম কাজিকান্দা গ্রামের আলম কাজীর তারেক কাজি (৩০), নিজকাটা গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে সিদ্দিক মোল্লা (৫০), নিজকাটা গ্রামের আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে রাশেদ (৩২), মাঝের দেওর এলাকার কালাম হাওলাদারের ছেলে ইলিয়াস, জামাল মাঝি গ্রামের লালু বিশ্বাসের ছেলে শওকত (৪৫), কাজিকান্দা গ্রামের লালু ফরাজির হোসেন (৩৫) প্রমুখ।
এ বিষয়ে ইলিয়াজ মাহমুদ শিপন জানান, আমাদের লোকজন নিয়ে সম্মেলনে যোগ দিতে চেয়েছি। কিন্তু চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের ব্যারিগেড (পথরোধ) দিয়ে রাখছে। আমাদের সম্মেলনে প্রবেশ করতে দেয়নি। তারা আমাদের লোকজনকে মারধর করছে। তবে, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রাসেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সম্মেলন বন্ধ হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।