বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস

Slider জাতীয়

কিডনি অনাবশ্যক দ্রব্য বা পদার্থ মূত্র হিসেবে শরীর থেকে বের করে রক্তের পরিশোধন করে এবং শরীরে ক্ষার এবং অম্লের ভারসাম্য বজায় রাখে। এভাবে কিডনি শরীরকে স্বচ্ছ এবং সুস্থ রাখে। শরীর থেকে বর্জ্য বের করা ছাড়াও রক্ত তৈরি করা, হাড় শক্তিশালী করার মতো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে আমাদের কিডনি। তাই শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে কিডনি সম্পর্কে সচেতনতা খুব জরুরি।

যেকোনো সময়ই এই কিডনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। তাই কিডনি রোগের উপসর্গগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। কিছু লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে। যেমন: প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘনঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর ও মুখে ফোলা ভাব ইত্যাদি। চিকিৎসাশাস্ত্রে, তিন মাসের চিকিৎসায় কিডনি রোগ ভালো না হলে এটিকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হিসেবে ধরা হয়।

শরীরে এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কিডনি সমস্যা সমাধানে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ডায়ালিসিস করিয়ে থাকেন। সঠিক সময়ে রোগ ধরা না পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু করা না গেলে কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া আর উপায় থাকে না। তবে প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ ধরা পড়লে কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসা এড়ানো সম্ভব।

কিডনি প্রতিস্থাপনের একটি বড় সমস্যা হলো প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনির অপ্রতুলতা। অথচ একটি কিডনি দান করলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, যা অনেকেই জানে না। তাই এ বিষয়টিও সবার কাছে তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রতিবছর বাংলাদেশে অসংখ্য রোগী কিডনি সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিডনি সমস্যা এড়াতে মদ বা সিগারেট থেকে দূরে থাকা, রাত না জাগা, ব্যথানাশক ওষুধ কম খাওয়া, খাবারে লবণের পরিমাণ কমানো, প্রস্রাব আটকে না রাখা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার ওপর জোর দেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *