রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির সম্ভাব্য ৫ চিত্র

সারাবিশ্ব

<img src="http://grambanglanews24.com/wp-content/uploads/2022/03/648101_119-300×162.jpg" alt="" width="300" height="162" class="alignnone যুদ্ধের ঘনঘটার মধ্যে সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে তা অনুমান করা সত্যিই কঠিন।

যুদ্ধক্ষেত্রের নানা খবর, কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ, হতাহতদের স্বজনদের বিলাপ আর বাস্তচ্যুতদের দুর্ভোগ-এগুলোর মধ্যে মানসিকভাবে দিশেহারা হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যেও বিশ্লেষকরা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছেন যে আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনের এই সংঘাত ঠিক কোন দিকে যেতে পারে।

রাজনীতিবিদ আর সামরিক নেতারা এর মধ্যেই সম্ভাব্য কিছু চিত্রকল্প পরীক্ষা করে দেখছেন। তবে যুদ্ধ এমনই একটা ব্যাপার যে ভবিষ্যতে কী হবে – তার পূর্বাভাস আস্থার সাথে দেয়া সহজ নয়। তবে কিছু সম্ভাব্য চিত্র এখানে তুলে ধরা হচ্ছে – যার কোনটিই খুব আশাব্যঞ্জক নয়।

১) সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ
এ চিত্রটা হলো এমন – রাশিয়া হয়তো তার সামারিক কর্মকাণ্ড আরো তীব্র করতে পারে। সারা ইউক্রেন জুড়েই নির্বিচারে কামানের গোলাবর্ষণ ও রকেট হামলা চালানো হতে পারে।

এখন পর্যন্ত রুশ বিমান বাহিনী এই যুদ্ধে খুব বড় কোনো ভূমিকা পালন করেনি। কিন্তু এই বিমান বাহিনীই এবার হয়তো আকাশ থেকে মারাত্মক সব আক্রমণ পরিচালনা করতে লাগলো।

সারা ইউক্রেন জুড়ে- তাদের জাতীয় অবকাঠামোগুলো তাক করে – ব্যাপক মাত্রায় সাইবার হামলা হতে থাকল। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হলো। হাজার হাজার বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হলো।

ইউক্রেনের বাহিনীর সাহসী প্রতিরোধ সত্বেও মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে রাজধানী কিয়েভের পতন হলো। তার পর সরকারকে উৎখাত করে সেখানে একটা মস্কো-পন্থী পুতুল সরকার বসানো হলো।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয় নিহত হলেন, অথবা পশ্চিম ইউক্রেনে বা বিদেশে পালিয়ে গেলেন, এবং সেখানে তিনি একটা নির্বাসিত সরকার গঠন করলেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বিজয় ঘোষণা করলেন, এবং কিছু সৈন্য প্রত্যাহার করলেন, তবে দেশটির ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য যথেষ্টসংখ্যক সৈন্য ইউক্রেনে রেখে দিলেন।

হাজার হাজার শরণার্থী পশ্চিমা দেশগুলোতে পালিয়ে গেল। ইউক্রেন মস্কোর একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হলো – ঠিক বেলারুসের মতোই।

এই চিত্রটা অসম্ভব মোটেও নয়। তবে ঠিক এভাবেই সবকিছু ঘটবে কিনা তা কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে।

এ জন্য যেমন রুশ সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে আরো ভালো করতে হবে, বা ইউক্রেনের যুদ্ধ করার মনোবল স্তিমিত হয়ে যেতে হবে।

ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো কিয়েভে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটাতে পারলেন, পশ্চিমা বিশ্বের সাথে ইউক্রেনের সংযুক্তিও থেমে গেল। কিন্তু কিয়েভে যে কোন রুশ-সমর্থিত সরকারই অবৈধ বলে বিবেচিত হতে পারে, এবং সেক্ষেত্রে শুরু হয়ে যেতে পারে সশস্ত্র বিদ্রোহ।

এমন কোনো পরিণতি হলে স্থিতিশীলতা আসবে না এবং ভবিষ্যতে আবারো সংঘাত শুরু হয়ে যাবার সম্ভাবনা হবে বেশ জোরাল।

২) দীর্ঘ যুদ্ধ
হয়তো এমন সম্ভাবনাই বেশি যে হয়তো এটা এক দীর্ঘ যুদ্ধে পরিণত হবে।

হয়তো রুশ বাহিনী তাদের নেতৃত্বের অদক্ষতা, যুদ্ধের সরঞ্জাম আনা-নেয়ার সমস্যা, নিম্ন মনোবল – এরকম নানা কারণে কিছুটা দমে যেতে পারে। এমনও হতে পারে যে ইউক্রেনিয়ানদের কড়া প্রতিরোধের কারণে রুশদের পক্ষে কিয়েভের মত শহরগুলো দখল করতে বেশি সময় লেগে যেতে পারে। এর ফলে যেটা হতে পারে তা হলো – দীর্ঘ সময় ধরে শহরগুলো ঘেরাও হয়ে থাকা।

হয়তো অনেকের মনে পড়বে – ১৯৯০-এর দশকে চেচনিয়ার রাজধানী গ্রজনি শহর দখলের জন্য রাশিয়ার দীর্ঘ ও রক্তাক্ত যুদ্ধে শহরটি প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। ইউক্রেনেও হয়তো তেমন কিছু হতে পারে। তাছাড়া রাশিয়ার বাহিনী যদি ইউক্রেনের শহরগুলোতে কিছু উপস্থিতি অর্জন করতে সক্ষম হয়ও – তাহলেও তাদের হয়তো এসব শহরের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হবে।

হয়তো এমনও হতে পারে যে ইউক্রেনের মত একটি বড় দেশকে কব্জায় রাখার মত যথেষ্ট সংখ্যক সৈন্য রাশিয়া পাঠাতে পারলো না। তখন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী কার্যত একটি বিদ্রোহী বাহিনীতে পরিণত হবে – তাদের মনোবল থাকবে চাঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীও তাদের সাহায্য করবে।

পশ্চিমা দেশগুলোও হয়তো তাদেরকে অস্ত্র-গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করবে। হয়তো এমনটা চলবে বেশ কয়েক বছর ধরে। তারপর একসময় মস্কোতে কোনো নতুন নেতৃত্ব আসবে এবং শেষ পর্যন্ত রুশ সৈন্যরা ইউক্রেন ত্যাগ করবে – ঠিক যেমনটা আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

৩) ইউরোপ জুড়ে যুদ্ধ
এমনটা কি হতে পারে যে এ যুদ্ধ ইউক্রেনের সীমান্ত পার হয়ে বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে?

প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো রাশিয়ার সাবেক সোভিয়েত সাম্রাজ্যের আরো কিছু অংশ পুনর্দখল করার চেষ্টা করতে পারেন।

তিনি হয়তো মলদোভা এবং জর্জিয়ায় রুশ সৈন্য পাঠাতে পারেন – যারা নেটোর অংশ নয়।

অথবা নিতান্তই ভুল হিসেব-নিকেশের কারণেও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন হয়তো ভাবতে পারেন যে পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে – এটা এক ধরনের আগ্রাসন, এবং এর পাল্টা জবাব দিতে হবে।

ফলে তিনি হয়তো লিথুয়ানিয়ার মত বাল্টিক দেশগুলোতে – যারা নেটো জোটের সদস্য – সৈন্য পাঠানোর হুমকি দিতে পারেন। এর আরো একটা লক্ষ্য হতে পারে রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ ছিটমহলের সাথে একটা স্থল করিডোর প্রতিষ্ঠা করা।

ভুল হিসেব-নিকেশ থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারেন পুতিন। এর পরিণতি হতে পারে অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং তার ফলে নেটোর সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।

নেটো সামরিক জোটের সনদের ৫ নম্বর ধারায় বলা হচ্ছে, এই জোটের সদস্য যে কোনো একটি দেশের ওপর আক্রমণের মানে হচ্ছে সবার ওপর আক্রমণ।

কিন্তু পুতিন হয়তো এ ঝুঁকিও নিয়ে ফেলতে পারেন – যদি তার মনে হয় যে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এটাই তার একমাত্র উপায়।

যদি এমন হয় যে ইউক্রেনে তিনি পরাজয়ের সম্মুখীন, তাহলে তিনি উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিতে পারেন।

আমরা এখন জানি যে রাশিয়ার এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করতে পিছপা হবেন না।

এই একই যুক্তি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রশ্নেও প্রয়োগ করা সম্ভব।

এ সপ্তাহেই পুতিন তার পারমাণবিক অস্ত্রকে উচ্চতর সতর্কাবস্থায় রাখার আদেশ দিয়েছেন। বেশির ভাগ বিশ্লেষকই অবশ্য একমত এর অর্থ এই নয় যে তিনি এ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু এটা মনে করিয়ে দিচ্ছে যে রাশিয়ার নীতিতে এখন কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।

৪) কূটনৈতিক সমাধান
এসব সত্ত্বেও কি শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন সংকটের একটা কূটনৈতিক সমাধান হতে পারে?

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেজ বলেছেন, এখন অস্ত্রের ভাষায় কথা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আলোচনার পথ সবসময়ই খোলা রাখতে হবে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ কয়েকবার ফোনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে কথা বলেছেন।

বিস্ময়কর হলেও এটা সত্য যে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিরা বেলারুস সীমান্তে বৈঠকও করেছেন। এতে হয়তো এখনো তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি, কিন্তু বৈঠকের প্রস্তাবে মি. পুতিন রাজি হওয়ায় এটা বোঝা যাচ্ছে যে তিনি আলোচনার মাধ্যমে একটা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে মেনে নিয়েছেন।

একটা প্রশ্ন হলো, এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পশ্চিমা জোট কোনো উপায় প্রস্তাব করতে পারে কিনা?

কূটনীতিকরা বলছেন, রুশ নেতার এটা বোঝা দরকার যে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলতে হলে তাকে বিনিময়ে কী করতে হবে – যাতে একটা মুখ-রক্ষা করার মত চুক্তি করা যায়।

এই চিত্রটা কল্পনা করে দেখুন । যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থা প্রতিকুল হয়ে পড়ল, এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো মস্কোকে বিচলিত করে তুললো। বাড়িতে বাড়িতে যুদ্ধে নিহত রুশ সৈন্যদের মৃতদেহ ফিরতে লাগলো। প্রেসিডেন্ট পুতিন ভাবতে শুরু করলেন যে পরিস্থিতি হয়তো সামাল দেবার মত অবস্থায় নেই।

তিনি ভাবতে পারেন যে এই যুদ্ধ থামালে তা যতটুকু অপমানজনক হবে – তার চেয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াটা তার নেতৃত্বের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর হবে।

এ সময় চীন মঞ্চে প্রবেশ করল। তারা মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করল আপোষ করার জন্য, এবং হুমকি দিল যে এটা না করলে তারা রাশিয়ার তেল ও গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেবে।

ফলে পুতিনকে এই সংকট থেকে বেরুনোর রাস্তা খুঁজতে হলো।

যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষও মনে করল যে রাজনৈতিক আপোষরফা করাটাই হবে উত্তম বিকল্প।

তখন কূটনীতিকরা মাঠে নেমে একটা চুক্তি কৈরি করলেন। সেটা – ধরা যাক – এমন হলো যে, ইউক্রেন ক্রাইমিয়া ও ডনবাসের কিছু অংশের ওপর রুশ সার্বভৌমত্ব মেনে নিল, বিনিময়ে পুতিন ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও ইউরোপের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির অধিকারকে মেনে নিলেন।

এখন হয়তো এটা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না – কিন্তু এই রক্তাক্ত সংঘাত থেকে এমন একটা সমাধান বেরিয়ে আসা অসম্ভব নয়।

৫) পুতিন ক্ষমতাচ্যুত
একটা গুরুতর প্রশ্ন, ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষেত্রে কি হবে? ইউক্রেন অভিযান শুরু করার সময় তিনি বলেছিলেন, আমরা যে কোন পরিণতির জন্য তৈরি। কিন্তু সে পরিণতি যদি এই হয় যে পুতিনকেই ক্ষমতা হারাতে হলো?

এখন হয়তো মনে হচ্ছে যে ব্যাপারটা অচিন্ত্যনীয়। কিন্তু এখন দুনিয়া বদলে গেছে, এ রকম একটা সম্ভাবনার কথাও ভাবা হচ্ছে।

লন্ডনের কিংস কলেজের ওয়ার স্টডিজের অধ্যাপক স্যার লরেন্স ফ্রিডম্যান এ সপ্তাহেই এক নিবনন্ধে লিখেছেন, এটা এখন খুবই সম্ভব যে কিয়েভ এবং মস্কো – যে কোনো খানেই ক্ষমতার পটপরিবর্তন হতে পারে।

কেন তিনি একথা বলছেন? এর কারণ সম্ভবত এটাই যে – পুতিন এক বিপর্যয়কর যুদ্ধে নেমেছেন। এতে হাজার হাজার রুশ সৈন্য মারা যেতে পারে। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ডেকে আনতে পারে দুর্ভোগ। পুতিন জনসমর্থন হারাতে পারেন।

হয়তো একটা গণবিপ্লবের হুমকিও সৃষ্টি হতে পারে। তিনি হয়তো বিরোধীদের দমনের জন্য রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এটা তিক্ততা সৃষ্টি করতে পারে এবং রাশিয়ার সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এলিট শ্রেণী মি. পুতিনের বিপক্ষে চলে যেতে পারে।

পশ্চিমা বিশ্ব এটা স্পষ্ট করে দিতে পারে যে যদি মি পুতিন বিদায় নেন, এবং তার জায়গায় একজন অপেক্ষাকৃত মধ্যপন্থী নেতা আসেন-তাহলে রাশিয়ার ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হতে পারে, স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

হয়তো রাশিয়ায় একটা রক্তাক্ত প্রাসাদ অভ্যুত্থান ঘটে যেতে পারে, পুতিন উৎখাত হতে পারেন।

বলতেই হবে যে – এক্ষুণি হয়তো এমন কিছু ঘটবে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু পুতিনের কারণে যারা লাভবান হয়েছেন তারাই যদি মনে করেন যে তিনি আর তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন না – তাহলে সে রকম কিছু ঘটে যেতেই পারে।

উপসংহার-
যে সম্ভাবনাগুলো কথা বলা হলো, এগুলো যে হুবহু এরকম করেই ঘটতে পারে তা নয়। হয়তো এগুলোর কোনো একটি-দুটি মিলে ভিন্ন কোনো পরিণতিও ডেকে আনতে পারে। কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধে সামনের দিনগুলোতে যাই ঘটুক – পৃথিবী বদলে গেছে। তা আর পূর্বাবস্থায় ফেরত যাবে না।

রাশিয়ার সাথে বাকি বিশ্বের সম্পর্ক আগামীতে বদলে যাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিরাপত্তা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গীও পাল্টে যাচ্ছে।

উদারনৈতিক, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি-ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা হয়তো এখন নতুন করে উপলব্ধি করবে যে কেন আসলে এই ব্যবস্থার কথা একসময় ভাবা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *