ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে জেনেভায় জাতিসংঘে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের বক্তৃতা থেকে প্রায় ৪০টি দেশের ১০০ জনেরও বেশি কূটনীতিক ওয়াকআউট করেছেন।
মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং অন্যান্য দূতদের বয়কটের পর কক্ষটিতে মাত্র অল্প কয়েকজন কূটনীতিককে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ছিলেন জেনেভায় জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত গেনাডি গ্যাটিলভ যিনি লাভরভের সাবেক ডেপুটি। সিরিয়া, চীন ও ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূতরাও কক্ষে অবস্থান করেন।
ওয়াকআউটে নেতৃত্ব দেয়া ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইয়েভেনিয়া ফিলিপেনকো ওয়াকআউটে অংশ নেওয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার বিমানের জন্য ইউরোপীয় আকাশসীমা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ল্যাভরভ মানবাধিকার কাউন্সিলে এসে সরাসরি ভাষণ দিতে পারেন নি।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়- নিজ বক্তৃতায়, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেনের উপর তার দেশের হামলাকে ন্যায্যতা দিয়ে উল্টো ইউক্রেন কর্তৃক রুশ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।
এদিকে, ল্যাভরভের বক্তৃতায় ওয়াকআউট করা কূটনীতিকরা বলেছেন, মানবাধিকার কাউন্সিলকে “বিকৃত তথ্যের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অপব্যবহার করা উচিত নয়”।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ল্যাভরভের উক্ত ব্যক্তব্যকে “মিথ্যা” বলে অভিহিত করে বলেছেন, “তাই আমরা একসাথে খুব শক্ত অবস্থান দেখাতে চেয়েছিলাম”।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত জেরোম বোনাফন্ট বলেছেন “যে কোন আক্রমণই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে” এবং “এটি গুরুত্বপূর্ণ- মানবাধিকার কাউন্সিল এই ওয়াকআউটের মাধ্যমে দেখালো যে এটি ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধ”।