বন্দরে মঙ্গলবার (১ মার্চ) নাসিক পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা, ইন্দ্র ২৮ টাকা ও গুজরাট ৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসাবে আমদানিকারকরা জানান, ভারতীয় বিভিন্ন দোকানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ সেখানেও গেল কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে পেঁয়াজ চাষের। যার কারণে সে দেশের দোকানগুলোতেও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার ট্রাক ভাড়াও বেড়েছে। যার কারণে দাম কমছে না আমদানিকৃত পেঁয়াজের।
আমদানিকারকদের দাবি, পেঁয়াজের বাজার সহনশীল রাখতে আইপি উম্মুক্ত করে দেওয়ার। ডিসেম্বর মাসেই পেঁয়াজের আইপি বন্ধ রাখা হয়েছে। আইপির জন্য আবেদন করতে পারছেন না কোন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের কাছে যতটুকু আইপি আছে সেগুলোর মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। নতুন করে আইপি অনুমোদন না দিলে বন্ধ হয়ে যাবে পেঁয়াজের আমদানি।
তবে, রমজানের আগে আইপি অনুমোদনসহ শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বন্দরে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকার জানান, প্রতিবছর মার্চের মাঝামাঝিতে পেঁয়াজের আমদানি বাড়লেও এবার তার পুরোটাই উল্টো। আমদানি শুরু হয়েছে একমাস আগ থেকে।
তারা আরও জানান, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের অনেকটাই সংকট, কারণ কৃষকরা জমি থেকে পেঁয়াজ উঠানোর পর সেগুলো বিক্রি করছে না। পেঁয়াজগুলো তারা রেখে দিচ্ছে চাঙ্গে বা মাচাতে। পরবর্তীতে ভালো দামে বিক্রির আশায়।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক জানান, আগের থেকে বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, পণ্য আমদানির পর বন্দরে সহজে জন্য পণ্য লোড, আনলোড করে পণ্যগুলো যেন বের হতে পারে সে ব্যবস্থা পোর্ট কর্তৃপক্ষ করেছে। এভাবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে বন্দরের আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গেল সাত কর্মদিবসের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১২৪ ট্রাকে সাড়ে তিন হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও মঙ্গলবার একদিনে আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৩০ ট্রাকে ৮শ ৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।